বরিশালের বাকেরগঞ্জে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাকেরগঞ্জ থানার আহত এএসআই কৃষ্ণ কান্ত মিত্রকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হাওলাদার ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে মামুন মেম্বার ওরফে হাতকাটা মামুন এবং রনি মোল্লার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মামুনের সহযোগীরা রনি মোল্লা ও তার দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
আহতদের বরিশাল মেডিক্যালে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে পুলিশ সাইফুল মৃধাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সোমবার রাতে মনিরকে ধরতে সোনাপুর গ্রামে অভিযান চালায়। বাড়িতে পুলিশ গেলে মনিরের স্ত্রী কুলসুম বঁটি দিয়ে এএসআই কৃষ্ণের মাথায় কোপ দেয়। সেখানে থাকা বাকি লোকজন মনিরকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে পালিয়ে যায়।
এএসআই কৃষ্ণকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক বরিশাল মেডিক্যালে পাঠান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মনিরকে ছিনিয়ে নিতেই মূলত তার স্ত্রী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় মনির ও কুলসুমকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুলসুমকে প্রধান আসামি করে দুজনের নামে মামলা হবে।’