ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসনের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেছেন দেশটির উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকল’ বা ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
সোমবার সকালে ঢাকা পৌঁছেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দেশটির মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন। সাক্ষাৎকালে দেশটির মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘ডেনমার্কের মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নকে ডেভেলপমেন্ট মিরাকল বলে আখ্যায়িত করেন।’
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ দুটির মধ্যে জ্বালানি ও প্রযুক্তিসহ পারস্পরিক সহযোগিতাকে বহুমুখী করার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকে ড্যানিশ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে জ্বালানি ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।’
তাদের আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, নারীর ক্ষমতায়নের মতো নানা বিষয়।
৩৯ বছর আগে নিজের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চ সম্মান অর্জন করেছে।’
ডেনমার্কের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন দেশটির মন্ত্রী।
সাক্ষাতে ডেনমার্ককে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেন সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার একটি জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে এবং কিছু বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের স্থানান্তর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভাষানচরকে বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।’
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এলিজোবেথ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং সুন্দরবন এলাকার জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনপদ ঘুরে দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন উপস্থিত ছিলেন।