রাজধানীর পল্টনে মামুন মাহমুদ নামে এক কলেজ শিক্ষক ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব।
পল্টনে কস্তরী হোটেলের সামনে সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বিএনপি নেতা মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় জুয়েল নামে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন উপস্থিত লোকজন। এটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা বলে মনে করছে পুলিশ।
মামুন মাহমুদ সোনারগাঁও মহিলা কলেজের অধ্যাপক। তার বাবার নাম নাজির আহমেদ। বাসা নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে।
মামুনের সহকারি মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘মামুন মাহমুদ পল্টনের হাউজ বিল্ডিং মোড়ে কস্তুরী হোটেলের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন তার গতিরোধ করে। বাধা দিলে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালানোর সময় জনতা একজনকে ধরে পুলিশে দেয়।
‘ওদিকে ছুরিকাহত মামুন মাহমুদ রাস্তায় পড়ে গেলে আশপাশের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।’
পল্টনে দলীয় কর্মসূচির পর মামুন মাহমুদ একাই হেটে যাচ্ছিলেন বলে তিনি জানান।
পল্টন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পল্টনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার ধোলাইয়ের শিকার হয়।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে আহত মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।