স্ত্রী মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা সদরে যাচ্ছিলেন আয়নাল হক। সঙ্গে ছিল তার ছেলে ফিরোজ আলী ও নাতি নিজাম।
পথে বগুড়ার শেরপুরে উল্টো দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত হন আয়নাল ও অ্যাম্বুলেন্সচালক দ্বীন ইসলাম।
উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা এলাকায় সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা হয়। এতে আহত হন ফিরোজ ও শিশু নিজাম। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বানিউল আনাম।
আয়নালের বাড়ি গাইবান্ধা সদরের কলমা বাজারে। নিহত দ্বীনের বাড়ি পিরোজপুর কাউখালি উপজেলায়।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক বানিউল জানান, বিকেলে বগুড়া থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ঢাকা যাচ্ছিল। পথে ঘোগা বটতলা এলাকায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আয়নাল। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান দ্বীন ইসলাম।
বানিউল আনাম আরও জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আয়নালের স্ত্রী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারটি বাড়ি যাচ্ছিল।