রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া থেকে সোমা আক্তার নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আবদুল জব্বার বলেন, ‘আমি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাই, আমার মেয়ে মেরাদিয়ায় একটি এমব্রডারি কারখানায় কাজ করত। ওর মা বাসা-বাড়িতে বুয়ার কাজ করে। দুপুরে আমি বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম, তখন আমার ঘরে এসে সোমা আমাকে ডাক দেয়। দেখি ওর নাক দিয়ে ফেনা এবং লালা বের হচ্ছে।
‘এরপরই সে অচেতন হয়ে যায়। তখন তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘পাশের বাড়ির রিকশাচালক খলিলুর রহমানের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কোনো কারণে সে জন্য সে আত্মহত্যা করতে পারে।’
নিহতদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অস্টগ্রাম উপজেলার কাচতোল গ্রামে। তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল সোমা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। সে কীটনাশক পান করেছিল নাকি অন্য কিছু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। বিষয়টি খিলগাঁও থানায় জানানো হয়েছে।’