ফেনী সদরের পূর্ব কচুয়া গ্রামে বিয়ের এক মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির ড্রইংরুম থেকে কপিল উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের ভূঁঞাবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৮ বছর বয়সী কপিল ফেনীর ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের সামছুল হক ফরাজীর ছেলে। কপিল কঙ্গো প্রবাসী।
পুলিশ জানায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কপিলের শ্বশুর আবুল হাসেম ভূঞাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার স্ত্রী ও শাশুড়ি পলাতক।
সামছুল হক ফরাজী বাদী হয়ে কপিলের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, মাসখানেক আগে দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসেন কপিল। ১ এপ্রিল ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের আবুল হাসেম ভূঁঞার মেয়ে সাবরিনা আক্তার সুবর্ণার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাবরিনা তার বাবার বাড়িতেই থাকেন। রোজার ঈদের পর স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে কপিলের নিজ বাড়িতে উঠিয়ে নেয়ার কথা ছিল।
মামলায় বলা হয়, শনিবার বিকেলে কপিল তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। রোববার সকালে বাবাকে ফোন করে জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে স্বর্ণালংকারসহ জিনিসপত্র দিতে বলেন। কপিল তাদের জানান, স্ত্রীকে উঠিয়ে নেয়ার সময় সবই দেয়া হবে।
সামছুল মামলায় আরও বলেন, সোমবার বেলা ২টার দিকে কপিল শ্বশুরের দোতলার ড্রয়িংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রচার করা হয়।
কপিলের বাবা গিয়ে ছেলের মরদেহ ঘরের মেঝেতে দেখতে পান।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রবাসী কপিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা করেছেন।