বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বনে পাকা রাস্তা: মন্ত্রীর হ্যাঁ, বন বিভাগের না

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ২১:১৭

উন্নয়নকাজ বন্ধ চেয়ে সরকারি সংস্থাটির পক্ষ থেকে দফায় দফায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এলজিইডি বলছে, মন্ত্রী কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সংরক্ষিত বনের ভেতর পাকা রাস্তা চান স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী। তবে এই রাস্তা চায় না বন বিভাগ।উন্নয়নকাজ বন্ধ চেয়ে সরকারি সংস্থাটির পক্ষ থেকে দফায় দফায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এলজিইডি বলছে, মন্ত্রী কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।পরিবেশকর্মী ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর পাকা রাস্তা হলে কাঠ চোরাচালান বাড়বে। সেই সঙ্গে বিপন্ন হবে বনের পরিবেশ এবং হুমকির মুখে পড়বে জীববৈচিত্র্য।৫ হাজার ৬৩০ দশমিক ৪০ একর আয়তনের সংরক্ষিত লাঠিটিলা বন। এই বনের ভেতর দিয়ে ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ১০ মার্চ দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। চলতি মাসের শুরুতে কাজ শুরুর জন্য মালামাল জড়ো করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘প্যারাডাইস কনস্ট্রাকশন’।

এরপর খোঁজখবর নিয়ে রাস্তা তৈরির বিষয়টি জানতে পারেন বন বিভাগের লোকজন। কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে লাঠিটিলা বিটের ফরেস্টার সালাহ উদ্দিন ১০ এপ্রিল এলজিইডি উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলীর কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে রাস্তা তৈরির আগে বন বিভাগের কোনো পরামর্শ বা অনুমতি নেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এর পরও রাস্তা তৈরির তোড়জোড় চলতে থাকায় ২১ এপ্রিল আবার চিঠি দেন বন বিভাগের জুড়ীর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।

বনের ভেতর রাস্তা নির্মাণ করতে হলে বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হয় বলে জানান বন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৯২০ সালে এই বনকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের আগে অনুমতি না নেয়ায় আমি কাজ বন্ধ রাখতে আবারও চিঠি দেই এলজিইডিকে। ১৯২৭ সালের বন আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের ভেতর এভাবে রাস্তা করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি হলে ওই এলাকার পুরোনো সেগুনবাগান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাঠ চোরাকারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যাবে।

তবে কাজ বন্ধ রাখতে নারাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এলজিইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, বন বিভাগের আপত্তির পর উপজেলা প্রকৌশলী মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আবদুল মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, রাস্তাটি যে বন এলাকায় পড়েছে, সেটি তারা আগে জানতেন না। মন্ত্রীর চিঠির (ডিও লেটার) পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তা নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যা হচ্ছে তা পরিবেশ-বিধ্বংসী। এই বনকে নষ্ট করার যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে। অথচ এটি বনমন্ত্রীর নিজের নির্বাচনি এলাকা। রক্ষক যেখানে ভক্ষক আমরা কার কাছে যাব?’

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তা পাকা হলে লোকজনের চলাচলে সুবিধা হবে। রাস্তার কাজ যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সঙ্গে আমি কথা বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর