বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই এবং গ্রিন ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন এ সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এ সময় সফররত ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ উপস্থিত ছিলেন।
ডেনিশ রাজকুমারী তিন দিনের সফরে সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেনের মধ্যে একই স্থানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করে এ সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দুই দেশ বিশ্বব্যাপী একটি টেকসই এবং সবুজ ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে অংশীদার হতে চায়।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির কাঠামোয় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, প্রশমন, পরিবেশগত ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর ফোকাস করা হবে বলেও জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক যৌথ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেকসই এবং গ্রিন ফিউচার অর্জনের লক্ষ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্টে প্রবেশকারী প্রথম দেশ ডেনমার্ক।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বাংলাদেশ এবং ডেনমার্কের মধ্যে অভিপ্রায়ের একটি অভিব্যক্তি হিসেবে কাজ করবে, যা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করে একটি কর্মপরিকল্পনা দিয়ে পরিপূরক হবে।
‘উদ্যোগটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়বস্তুকে আরও বৈচিত্র্যময় করার জন্য আমাদের দুই দেশের যৌথ আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল এবং ডেনিশ উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’
ডেনমার্কের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশে তার প্রথম সফরের সময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন।
‘ডেনমার্ক এবং বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু এজেন্ডায় শক্তিশালী এবং সক্রিয় জড়িত দুটি দেশ। সবুজ কাঠামোর নথিতে স্বাক্ষর করা, ইঙ্গিত দেয় যে আমরা প্যারিস চুক্তি - জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে করা প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর কাজ করতে প্রস্তুত।’