বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর রাজিব হোসেন খানকে মারধরের অভিযোগে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের নামে মামলা হয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় রোববার রাতে মামলা করেন রাজিব নিজেই। বিপ্লবের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানসহ পাঁচজন। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে বাধা, আটকে রেখে মারধর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
এর আগে রোববার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে রাজিবকে মারধরের অভিযোগ তুলে সড়কে বিক্ষোভ করেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাল্টা বিক্ষোভ করে সড়কে অবস্থান নেন বিপ্লব ও অনুসারীরা।
পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশে রোববার দুপুর থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। পুলিশের আশ্বাসে ৭ ঘণ্টা পর রাতে রাস্তা থেকে সরে যান অবরোধকারীরা, যান চলাচল শুরু হয়।
যে কারণে বিক্ষোভ
রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি ভবনের প্ল্যান চেক করতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বিপ্লব আমাকে ফোন দিয়ে নানা কথা বলে হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নেন। এরপর তাকে না বলে কেন প্ল্যান চেক করতে গিয়েছি সেই অভিযোগ তুলে আমাকে মারধর করেন। এরপর অন্য স্টাফরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
এসব বিষয়ে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে একটা কাজ করতে আসবে সেটা আমিই জানি না। আমার সব স্টাফ নিয়ে গেছে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। আমি শুধু ওই স্টাফকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করেছি।’
তিনি রোববার রাতে বলেন, ‘একজন কাউন্সিলরকে হেনস্থার চেষ্টা করায় আমিও থানায় অভিযোগ জানাব।’