বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে গ্রামে অপরাধ কম, কালেভদ্রে পুলিশ  

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০২

হুলহুলিয়া গ্রাম মর্যাদা বাড়াচ্ছে নাটোরের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই গ্রামের খবর। বলা হচ্ছে শান্তির সুবাতাস বওয়া গ্রামটিতে গত ২০০ বছরে কোনো পুলিশের পা পড়েনি।

সুবিশাল চলনবিল, দুদণ্ড শান্তি দেয়া বনলতা সেন অথবা কাঁচাগোল্লার জন্য এক নামে পরিচিত উত্তরবঙ্গের নাটোর।

এসব প্রসিদ্ধির বাইরে হুলহুলিয়া গ্রামও মর্যাদা বাড়াচ্ছে নাটোরের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই গ্রামের খবর। বলা হচ্ছে শান্তির সুবাতাস বওয়া গ্রামটিতে গত ২০০ বছরে কোনো পুলিশের পা পড়েনি।

চারদিকে প্রতিদিন যখন নানা হানাহানির খবর, তখন বাংলাদেশেরই একটি গ্রাম কী করে এমন শান্তির ঠিকানা হয়ে আছে তা জানার কৌতূহল নিউজবাংলার। শুরু হলো অনুসন্ধান।

সড়ক বা রেল, যেকোনো পথেই ঢাকা থেকে যাওয়া যায় নাটোরে। উত্তরবঙ্গের জেলাটিতে যেতে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে যাত্রা করেন নিউজবাংলার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বনি আমিন।

বাস কাউন্টারে অপেক্ষার সময় পরিচয় হয় নাটোর জেলার দুজনের সঙ্গে।

একজনের নাম জালাল হোসেন। নাটোরের গ্রামটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তার বিস্ময়মাখা জবাব, এমন গ্রাম আছে নাকি! জালালের মতোই বিস্ময় ইমতাজুল ইসলামের। হুলহুলিয়ার নামই তিনি শোনেননি।নির্ধারিত সময় রাত ১১টায় কল্যাণপুর থেকে ছাড়ে নাটোরগামী বাস।

টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জ পেরিয়ে নাটোরের বড়হরিশপুর বাইপাসে পৌঁছাতে ভোর সাড়ে ৫টা। বড়হরিশপুর বাইপাসে তেমন লোকজন নেই। একটিমাত্র চায়ের দোকান খোলা।

দোকানে চা-বিস্কুট আর পান খাচ্ছিলেন কয়েকজন অটোচালক। দূরপাল্লার কোনো বাস থামতেই যাত্রী নিতে হাঁকডাক দিচ্ছেন তারা।

চা দোকানির নাম গফুর আলী। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, এই জেলায় এমন কোনো গ্রাম কি আছে যেখানে ২০০ বছর পুলিশ ঢোকেনি? এমন প্রশ্নে অবাক গফুর।

দোকানের অন্যদের মধ্যেও শুরু হয় আলোচনা। সুভাস কুমার সরকার নামে একজন তো বলেই বসেন, এটা স্রেফ মাথা নষ্ট করা কথা। তবে সুভাসের কথা কেড়ে নিয়ে নজরুল মিয়া নামের একজন যোগ করেন, হুলহুলিয়ায় অনেক শিক্ষিতের বসবাস।

আলোচনায় উৎসাহ নিয়ে যোগ দেন সাদেক হোসেন নামে আরেকজন। জানান, পুলিশ না ঢোকার তথ্য সংবাদমাধ্যমে পেয়েছেন, এলাকার কারও এটি জানা নেই।

সত্য জানতে এবার যেতে হবে হুলহুলিয়া। নাটোর সদর থেকে সিংড়া উপজেলার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নে পড়েছে হুলহুলিয়া গ্রামটি।

উপজেলা সদর থেকে চৌগ্রাম ইউনিয়নের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলে ৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলে চৌগ্রাম ইউনিয়ন বাজার।

কথা হয় চৌগ্রাম বাজারের খাবার হোটেল ব্যবসায়ী যুবরাজের সঙ্গে। হুলহুলিয়া গ্রামে পুলিশ না ঢোকার তথ্য তারও জানা নেই।

যুবরাজের হোটেলে নাশতা করছিলেন স্থানীয় ফিরোজ উদ্দীন। তার দাবি, হুলহুলিয়া চাকরিজীবীদের গ্রাম। বেশির ভাগ মানুষ থাকেন গ্রামের বাইরে। সেখানে ঝামেলা করার মতো লোকজন কম।

যুবরাজের হোটেলের ঠিক উল্টোদিকে একটা সেলুনের দোকান। সেখানে কাজ করছিলেন বিষ্ণু শীল। তিনি বললেন, হুলহুলিয়ায় এক বছর আগেও জমিসংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে মামলা হয়েছে। পুলিশও ঢুকেছে গ্রামে।

চউগ্রামের সেলুন মালিক। ছবি: নিউজবাংলা

সেলুনে আসা মাসুদ মিয়াও জানালেন একই তথ্য।

দেখা হয়ে যায় নজরুল ইসলামের সঙ্গে। প্রবীণ নজরুল ইসলাম হুলহুলিয়া মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন, সম্প্রতি অবসরে গেছেন।

তিনি বলেন, অন্য গ্রামের তুলনায় হুলহুলিয়ায় অপরাধের সংখ্যা কম। বেশির ভাগ ঝুটঝামেলার মীমাংসা হয় স্থানীয়ভাবে। খুব জটিল বিষয়গুলো আদালত-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।

চৌগ্রাম ইউনিয়নের বাজার থেকে হুলহুলিয়ার পথে এগোন বনি আমিন।

চউগ্রামের হোটেল। ছবি: নিউজবাংলা

গ্রামের রাস্তার দুধারে বিশাল এলাকাজুড়ে সবুজ ধানক্ষেত। সবে উঁকি দিচ্ছে ধানের শিষ। ধানক্ষেতের মাঝে ছোট, বড় হাঁসের খামার।

গ্রামে ঢোকার মুখেই একটি গেট। সেখানে লেখা আদর্শ গ্রাম হুলহুলিয়া।

দেখা হয় তুহিন হোসেন নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, জটিল কিছু হইলে পুলিশ তদন্তে আসে। তবে বেশির ভাগ ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়াতে দেয় না গ্রামের ‘সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ’।

হুলহুলিয়া বাজারে মামুনুর রশীদও জানান, ২০০ বছর পুলিশ না ঢোকা তথ্য ভিত্তিহীন। তবে পুলিশি কেসের সংখ্যা বেশ কম।

চায়ের দোকানে মামুনের পাশে বসেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। মামুনের কথায় সমর্থন দিলেন তিনি। আলোচনা শুনে বেশ বিরক্ত হন চা দোকানি সিরাজ মণ্ডল। তার এই বিরক্তি সংবাদমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর প্রচার নিয়ে।

হুলহুলিয়া বাজারে কথা হয় আব্দুল লতিফের সঙ্গে। তিনি হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।আব্দুল লতিফ জানান, ১৯৪০ সালে মছির উদ্দির মৃধা নামে একজন হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। এরপর আব্দুল কাদের তালুকদার নামে আরেকজন গ্রাম পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।হুলহুলিয়া গ্রামে শান্তি ধরে রেখেছে গ্রামের সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গ্রামটি ১২টি পাড়ায় বিভক্ত। ১২টি পাড়ার মনোনীত সদস্যরাই নিজ পাড়ার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন।

পাড়ায় সমস্যার সমাধান না হলে সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ এগিয়ে আসে। সেখানেও সমাধান না হলে ৩০দিনের মধ্যে দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে পারেন গ্রামবাসী।

গ্রামবাসীরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে অনেক শান্ত এই গ্রামে রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবন। আর তাই আশপাশের গ্রামের মানুষের কাছে আদর্শ হয়ে উঠছে হুলহুলিয়া। সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ সদস্যরা বলছেন, আর দশটা গ্রাম থেকে হুলহুলিয়ার আলাদা হওয়ার পেছনে গ্রামের উচ্চ শিক্ষিতদের অবদানও কম নয়।

নাটোরের হুলহুলিয়া গ্রাম। ছবি: নিউজবাংলা

এই গ্রামের অন্তত ৩০ জন আছেন চিকিৎসা পেশায়। পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা আট। একজন চাকরি করেন আমেরিকার নাসায়। এ ছাড়া সেনা ও নৌবাহিনীর বড় পদেও আছেন বেশ কয়েকজন।

গ্রামটির রয়েছে নিজস্ব সংবিধান। ১১ পৃষ্ঠার ওই সংবিধানটি মেনে চলে হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ। হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও একজন কো-চেয়ারম্যানসহ সদস্য আছেন ২৩ জন। কমিটির মেয়াদ দুই বছর।

হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়েও চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন বনি আমিন। পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত দিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয় গ্রামবাসীকে। গঠন করা হয় হুলহুলিয়া গ্রামীণ নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা পরিষদের কোনো পদে লড়তে পারেন না। গ্রামবাসীর সাধারণ সভায় চেয়ারম্যান ও সহ-চেয়ারম্যান গঠনের জন্য নাম প্রস্তাব হয়। একক প্রার্থী বিজয়ী ঘোষিত হন, তবে কোনো পদে প্রার্থী একাধিক হলে আয়োজন হয় ভোট।

২৩ সদস্যের পরিষদের মেয়াদ দুই বছরের হলেও নিজস্ব সংবিধানের পরিপন্থি কাজ করলে চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যের পদ আপনাআপনি বাতিল হয়ে যায়।

অনুসন্ধানে বনি আমিন জেনেছেন, গ্রামীণ যেকোনো ঝুটঝামেলা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করে হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ।

বাদী ও বিবাদী ৩০ দিনের মধ্যে প্রচলিত আইনের আশ্রয় না নিলে পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। গ্রামের যে কেউ বিচারের জন্য পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে ৩০০ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে পারেন। আশপাশের গ্রামের মানুষও বিচারের জন্য আসতে পারেন হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদে। সে ক্ষেত্রে সালিশের ফি ৬০০ টাকা।

পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ওপর নির্ভর করে বিচারের রায়। কোনো জটিলতা দেখা দিলে ওই রায় স্থগিত করে ফের চেয়ারম্যান ও পাঁচজন উপদেষ্টা বিচার করেন।

কোনো কারণে চেয়ারম্যান বা কো-চেয়ারম্যান বিচারে উপস্থিত থাকতে না পারলে বিচার পরিচালনা করেন পাঁচ উপদেষ্টা।

গ্রামবাসী বলছেন এ ধরনের স্থানীয় বিচারব্যবস্থার কারণেই তাদের পুলিশ কিংবা আদালতমুখী হওয়ার প্রবণতা কম।

হুলহুলিয়া গ্রামের সবাই মুসলিম। ধর্মসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে বিরোধ থাকলে স্থানীয় জামে মসজিদ কমিটিকে তা জানানোর নিয়ম রয়েছে। এটি সুরাহার দায়িত্ব মসজিদ কমিটির।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের ৯টি লক্ষ্য রয়েছে। যার মধ্যে আছে: হুলহুলিয়াকে আত্মনির্ভরশীল, আদর্শ ও মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। গ্রামের সব সমস্যা গ্রামেই সমাধান করা।

হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে সবার জন্য সুশিক্ষা নিশ্চিত করা। গ্রামের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ সংরক্ষণ করা। জনসাধারণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং গ্রামবাসীর সব ধরনের ন্যায্য দাবি পূরণ করা।

হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের রয়েছে বিশেষ মনোগ্রাম। এর ওপরের দিকে বাম পাশে আছে বই ও কলম। যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে গ্রামটি নিরক্ষরমুক্ত। ডান পাশে চোখ বাঁধা নারীর হাতে দাড়িপাল্লায় নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার কথা বোঝানো হয়েছে। নিচের ডান দিকে কাস্তে ও ধানের প্রতীকে বোঝানো হয়েছে শস্য-শ্যামল হুলহুলিয়াকে।

আর নিচের বাম পাশে তালগাছ, দূর থেকে হুলহুলিয়া গ্রামটিকে চেনার প্রতীক। হুলহুলিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবহমান নিয়ামত খালের প্রতীক হলো নৌকা।

হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর শাহের দাবি, একতাই এই গ্রামের মানুষের প্রধান শক্তি। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতিতে অটুট ভালোবাসার বন্ধন।

আলমগীর কবীর যোগ করেন, গ্রামে ছোটরা বড়দের সম্মান করে। বড়রা ছোটদের স্নেহ করেন। এই গ্রামের শতভাগ মানুষ শিক্ষিত, সরকারি-বেসরকারি চাকরির বড় পদে অধিষ্ঠিত। বাল্যবিয়ে, যৌতুক, মাদকের সমস্যা বলতে গেলে অনুপস্থিত।

হুলহুলিয়া গ্রামের হাঁসের খামার। ছবি: নিউজবাংলা

গ্রামে পুলিশ তেমন আসে না দাবি করে পরিষদের চেয়ারম্যান আল তৌফিক পরশ বলেন, গ্রামে কোনো ঝামেলা হলে সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ থেকেই সাধারণত মিটমাট হয়ে যায়। পুলিশ-আদালত পর্যন্ত যায় দুই-একটি ঘটনা।

পরশ স্বীকার করছেন, কিছু ঘটনায় মাঝেমধ্যে পুলিশ এসেছে হুলহুলিয়া গ্রামে। ফলে ২০০ বছর পুলিশ না ঢোকার তথ্য ভিত্তিহীন।

হুলহুলিয়া গ্রামের অপেক্ষাকৃত শান্তপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে স্বস্তিতে প্রশাসনও। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন বনি আমিন। হুলহুলিয়ার নিজস্ব সংবিধান ও সালিশব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি নেই তার।

ইউএনও বলছেন, হুলহুলিয়ায় অপরাধপ্রবণতা বেশ কম। গ্রামবাসীর ঐক্য বেশ সুসংহত। সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামও হুলহুলিয়াকে নিয়ে বেশ স্বস্তিতে। তিনি বলছেন, গ্রামে পুলিশ না যাওয়ার দাবি সত্যি নয়। তবে অপরাধের সংখ্যা অনেক কম।

দুই কিলোমিটার আয়তনের হুলহুলিয়া গ্রামে স্কুল, মাদ্রাসা এবং মসজিদ আছে একটি করে। পাঁচ হাজার মানুষের এই গ্রামটি পুরোপুরি অপরাধমুক্ত না হলেও অনেক দিক থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো গ্রাম থেকে এগিয়ে।

এ বিভাগের আরো খবর