কুষ্টিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়েছে।
সদর উপজেলা থেকে রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর সোমবার দুপুরে কুমারখালী আমলি আদালতে তোলা হয় হেলাল শেখকে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার ২ নম্বর আসামি ২৮ বছরের হেলাল শেখ চাপড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের সাওতা গ্রামে।র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে হেলালকে সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, চারটি সিম কার্ড এবং ১২ হাজার ৯৩৪ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর পারসাওতা এলাকার হেলাল শেখ, রাসেল আহমেদ ও আলিমান শেখ দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি।
অভিভাবকদের জানানোয় উল্টো ক্ষিপ্ত হয় অভিযুক্তরা। এর জেরে গত ২৬ মার্চ মেয়ের সঙ্গে বের হলে ওই নারীকে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় তারা।
কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন বড়ুরিয়া চর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে তারা। পরদিন সকালে কৌশলে সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর দাবি, এ ঘটনায় প্রথমে থানায় অভিযোগ দিলেও তা না নেয়ায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। পরে কুমারখালী আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় গত ১০ এপ্রিল মামলা নেয় কুমারখালী থানা। আসামি করা হয় হেলাল শেখ, রাসেল আহমেদ ও আলিমান শেখকে।