বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দীর্ঘ সময় লাইনে থাকলে আমাদের কী করার আছে: রেলমন্ত্রী

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:১২

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে পরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছিলাম, সে অনুসারে সবকিছু হচ্ছে। কালকের জন্য যদি আজকে কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আমাদের কী করার আছে বলেন? আর আজকের টিকিট নিয়ে তো কারও কোনো অভিযোগ নেই।’

মানুষের চাহিদার তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তাই দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।

সোমবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি কাউন্টার পরিদর্শন এবং টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথাও বলেন।

টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রীদের বেশির ভাগই রেলমন্ত্রীর কাছে টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ করেন। অনলাইন ও অফলাইন দুই ক্ষেত্রেই টিকিট সঠিকভাবে বিক্রি হচ্ছে না বলে অসংখ্য মানুষ এসব অভিযোগ জানান তাকে।

অবশ্য অভিযোগ শুনলেও যাত্রীদের কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি।

পরিদর্শন শেষে যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমারা যে পরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছিলাম, সে অনুসারে সবকিছু হচ্ছে। কালকের জন্য যদি আজকে কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আমাদের কী করার আছে বলেন? আর আজকের টিকিট নিয়ে তো কারও কোনো অভিযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে সিস্টেম করেছি তাতে অন্য কারও সুযোগ নেই টিকিট কাটার। পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট নিতে হবে। কারও টিকিট দিয়ে কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না।’

অভিযোগ আছে রেলের স্টাফরা টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত, এ নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কারও টিকিট দিয়ে যদি অন্য কেউ যেতে না পারে, তাহলে কালোবাজারি করে তো কোনো লাভ হবে না। চারজন টিকিট নিলে চারজনকেই আইডি কার্ড জমা দিতে হবে।’

নতুন টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পাওয়া সহজের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। তবে সহজ আইডি কার্ড ছাড়া টিকিট বিক্রি করছে না বলেও দাবি করেন মন্ত্রী সুজন।

এত পরিকল্পনার পরেও কেন রেলে প্রতি বছর ঈদের আগে এমন অব্যবস্থাপনা জানতে চাইলে মন্ত্রী সুজন বলেন, ‘আপনারা দেখছেন না, ১৮ লক্ষ মানুষ অনলাইনে হিট করছে। কারণ মানুষের চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেনের সংখ্যা কম। দৈনিক ঈদযাত্রায় ৫০ লাখ লোক ঢাকার বাইরে যাবে। অথচ রাস্তার সক্ষমতা হলো ১৫ লাখ।’

তবে রেলের অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। কাজেই কারও টিকিট অন্য কারও কাটার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি ভ্রমণেরও সুযোগ নেই। আমি যদি অন্য কারও টিকিট কাটি, তবে যার নামে কাটছি তাকেই ভ্রমণ করতে হবে। কারণ টিকিটে যার পরিচয়পত্র তার একটি নম্বর থাকবে।’

এমন সময়ে রেলে এই পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করা যাবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারি সেটা আপনারা ২৭ তারিখ থেকে যখন ঈদযাত্রা শুরু হবে তখন দেখতে পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর