নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েরর তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সিঙ্গাপুর যান কাদের।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিগগিরই ঢাকায় ফেরার ইঙ্গিত সেদিনই দেয়া হয়েছিল।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দিল্লি যান ওবায়দুল কাদের। ফিরে আসেন ২৬ ফেব্রুয়ারি।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাদের। ওই দিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তাকে ভর্তি করানো হয়। তবে দিন-কয়েকের মধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে ফেরেন সরকারের এই মন্ত্রী।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছিল কাদেরকে। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কাদেরের তিনটি আর্টারি ব্লক হয়ে গেছে। ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসায় দেশের বাইরে থেকে আনা হয় চিকিৎসক দল। কাদেরের চিকিৎসা করেন ভারতের নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। তাতেও শঙ্কামুক্ত হননি তিনি।
পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় আড়াই মাসের দীর্ঘ চিকিৎসার পর ২০১৯ সালের ৬ মে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
ধীরে ধীরে রাজনীতির মাঠে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারির স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে লোকসমাগম এড়িয়ে চললেও গণমাধ্যমে নিয়মিত দল এবং সরকারের হয়ে কথা বলছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কর্মসূচিতেও উপস্থিত থেকেছেন কাদের।