বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লঞ্চের চ্যানেলে ফেরি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪৬

পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি বলেন, ‘লঞ্চের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। স্বাভাবিক সময়ে আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছাড়া হয়। কিন্তু ঈদের মধ্যে লঞ্চ ছাড়া হবে ৫ মিনিট পর পর। তখন যদি লঞ্চের চ্যানেল দিয়ে এভাবে ফেরি চলে, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএমকে বলা হয়েছে। যাতে করে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন তারা আমাদের চ্যানেল ব্যবহার না করে।’

ঈদ ঘনিয়ে আসায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। কিন্তু এ নৌপথে লঞ্চের চ্যানেলে চলাচল করছে ফেরিও। ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত ফেরি ও লঞ্চের চাপে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা- এমন আশঙ্কা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি বলেও দাবি তাদের। তবে বিআইডব্লিউটিসি বলছে, সমাধানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকেই (বিআইব্লিউটিএ) বিকল্প চ্যানেলের সিদ্ধান্ত দিতে হবে।

বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এ নৌরুটে এখন ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদে পারাপার করা হবে ২১টি ফেরি দিয়ে।

বিআইব্লিউটিএ কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হবে। প্রতিটি লঞ্চে নেয়া যাবে ১২০ থেকে ১৮০ জন যাত্রী। ইতিমধ্যে লঞ্চগুলো মেরামত করা হয়েছে এবং যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শিবালয়ের পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের পাশ দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। ঢেউয়ের মধ্যে পাশ ঘেঁষেই চলাচল করছে ফেরি ও লঞ্চগুলো। এর ফলে যেকোনো সময় ফেরি ও লঞ্চের মধ্যে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঢেউয়ের মধ্যেও ডুবে যেতে পারে ছোট লঞ্চগুলো।

এমভি মিতারা লঞ্চ মালিক রিপন জোয়াদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করা ঠিক না। দ্রুত কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারণ, ঈদের মধ্যে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। এসময় লঞ্চ ও ফেরি বেশি চলাচল করার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে।

‘আমাদের লঞ্চের সবকিছু ঠিক আছে এবং নিয়ম মেনে চলাচল করে। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলে তখন দোষ হবে আমাদের, জেল-জরিমানা হবে আমাদের।’

এমভি বরকত লঞ্চ মাস্টার নুর ইসলাম বলেন, ‘খালি লঞ্চ থাকলে এত চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু লঞ্চে যাত্রী বোঝাই থাকলে খুব চিন্তা করতে হয়। কারণ, লঞ্চের ভেতরে বিভিন্ন বয়সী যাত্রী থাকে।

‘একটু বেখায়ালি হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক সময় তো ভয় পেয়ে যাই, এই বুঝি দুর্ঘটনা ঘটল। দুর্ঘটনা ঘটলে তো ফেরির কিছু হবে না। ক্ষতি হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।’

নিউজবাংলাকে পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি বলেন, ‘লঞ্চের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। স্বাভাবিক সময়ে আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছাড়া হয়। কিন্তু ঈদের মধ্যে লঞ্চ ছাড়া হবে ৫ মিনিট পর পর। তখন যদি লঞ্চের চ্যানেল দিয়ে এভাবে ফেরি চলে, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

‘এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএমকে বলা হয়েছে। যাতে করে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন তারা আমাদের চ্যানেল ব্যবহার না করে।’

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ- এর নির্ধারিত চ্যানেলে ফেরি চলাচল করে থাকে। এতে লঞ্চ ও ফেরি চলাচলে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে বিআইডব্লিউটিএ।

‘দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য বিআইডব্লিউটিএকেই বিকল্প চ্যানেল তৈরি করে দিতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ সিদ্ধান্ত দিলে আমরা ওইভাবে ফেরির চলাচল করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ফেরিগুলো লঞ্চঘাটের চ্যানেল দিয়ে দৌলতদিয়া যায় এবং দৌলতদিয়া থেকে অন্য চ্যানেল দিয়ে আসে। এখন যদি দৌলতদিয়া থেকে আসার চ্যানেল দিয়ে ফেরি যাতায়াত করে, তাহলে সময় বেশি লাগবে এবং সময় বেশি লাগলে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাবে। এতে করে ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’

এ বিষয়ে জানিতে বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তা শাহ আলমের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর