গত কয়েক দিনের মতো সোমবারও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে সাত শতাধিক ট্রাক ও চার শতাধিক বাস।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত যানবাহন ও ফেরি স্বল্পতার কারণে এমন পরিস্থিতি।
দৌলতদিয়া ঘাটে সকালে দেখা যায়, ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ছয় কিলোমিটারজুড়ে ট্রাকের সিরিয়াল। কোনো ট্রাকচালক এক দিন, কেউবা দুই দিন ধরে নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
ঝিনাইদহ থেকে ট্রাক নিয়ে রোববার দুপুরে ঘাট এলাকায় পৌঁছান সোহেল সরদার। তিনি বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকে সিরিয়ালে আটকে আছি। মাল নিয়ে যাব ঢাকার তেজগাঁও। গাড়িতে শুয়েই রাত কাটাইছি। এভাবে খাওয়াদাওয়ার সমস্যা আর প্রচণ্ড গরম। ভোগান্তির শেষ নাই।’
মহাসড়কে বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল তিন কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে। রাত থেকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
গ্রিন বাংলাদেশ পরিবহনের বাসচালক মোহাম্মদ বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে যাত্রী এনে এখানে রাত ১টা থেকে বসে আছি। এত সময় আটকে থেকে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে গেছে। তার ওপর প্রচণ্ড গরম।’
ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাবেন রায়হান খান। তিনি বলেন, ‘ভোর থেকে ঘাটে জ্যামে আটকে আছি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ আর গরমে অসহ্য লাগছে। এখনই যে ঘাটে এমন জ্যাম হবে ভাবিনি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, এই নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করে। একটি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে। বাকিগুলো চলছে।
তিনি বলেন, ‘ফেরি কম থাকায় ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। আমরা যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল মালামাল বহনকারী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।’