পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।
তাদের দাবি, শিশুটির অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকলেও হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল অক্সিজেন নেই। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই।
গত শনিবার বিকেলে নবজাতকটির মৃত্যু হয়। তার বাবা ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ৭ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৌকখালী গ্রামের রিকশাচালক সাবু হাওলাদার এবং মা হেলেনা বেগম।
সাবু নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার ছাড়াই একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন হেলেনা। জন্মের পরই শিশুটির শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অক্সিজেন দেয়ার পর অবস্থা স্বাভাবিক হয়।
সাবু বলেন, ‘নার্সের পরামর্শে বিকেলে আমরা বাচ্চাটাকে নিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ সৌরেন্দ্রনাথের কাছে নিয়ে যাই। তিনি হাসপাতালে অক্সিজেন দিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। আমরা আবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে এলে নার্সরা জানান অক্সিজেন নেই।
‘মেয়েটা আমার হাতের ওপরই মারা যায়। আমি বারবার নার্সদের অনুরোধ করেছি অক্সিজেন ম্যানেজ করে দেয়ার জন্য। তারা আমার কোনো কথা শোনেননি। উল্টো আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে।’
শিশুটির খালা রোজি বেগম বলেন, ‘ডাক্তার সৌরেন্দ্রনাথের কাছ থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এলে আমাদের চারতলায় পাঠানো হয়। সেখানে সিস্টাররা জানান, অক্সিজেন নাই।
‘তখনও বাচ্চাটা বেঁচে ছিল, মায়ের দুধ খাচ্ছিল। তবে অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। আবার জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার সেখানে অক্সিজেন লাগায়। তবে ততক্ষণে বাচ্চাটা মারাই যায়।’
হেলেনার অভিযোগ, নার্স ও চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে তার সন্তান মারা গেছে। তিনি এর বিচার চান।
ভাণ্ডারিয়া পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন মুফতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। জন্মের পর থেকে শিশুর অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তবে হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট নেই। কী কারণে না থাকার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়টি আমি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’