নওগাঁর মান্দায় ছয় বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বাঁশঝাড় থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে জুয়েল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার নিমবাড়িয়ার পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে শনিবার রাতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান মিয়া।
এসপি বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে জুয়েল হোসেন নামে ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জুয়েল।
এসপি বলেন, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশঝাড়ে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী জুয়েল বাঁশঝাড়ে বাঁশের কঞ্চি কাটছিল। বেলা ৩টার দিকে অন্য শিশুরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলে জুয়েল ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এসপি জানান, শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে কান্নাকাটি শুরু করে। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার শঙ্কায় জুয়েল তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝোপের মধ্যে বাঁশের পাতা ও কঞ্চি দিয়ে ঢেকে রাখে।
স্থানীয়রা এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখে মান্দা থানায় জানান। মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাতেই জুয়েলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে এসপি আবদুল মান্নান আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার জুয়েলকে আদালতে তোলা হবে।