নোয়াখালীর হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় চিকিৎসা না পেয়ে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ তিনজনকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সকালে হাতিয়ার পূর্ব খিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নিরাপত্তা প্রহরী সালাউদ্দিন মিরন কর্মস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে এ ঘটনা ঘটে।
মিরনের ছেলে মো. সোহেল রানা জানান, সকাল পৌনে ৬টার দিকে তার বাবাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগে চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কোনো স্টাফ উপস্থিত না থাকায় বিনা চিকিৎসায় ২ ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।
সোহেল রানা বলেন, ‘হাসপাতালের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় অসংখ্যবার ছোটাছুটি করেও কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাইনি। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে চিকিৎসা না পেয়ে আমার বাবা মারা গেলেন।’
নিউজবাংলাকে জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানান, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. দীপ্ত চন্দ্র কুরী, আফাজিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশ্রাফ আলীকে তাৎক্ষণিক ভাসানচরে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সেলিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে যাদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন জানান, ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) ডা. খাদিজা রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।