কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দের জেরে মারামারিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আক্কাছ মিয়া। তার বয়স ৪৫ বছর।
তিনি উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাল্লা গ্রামের বাসিন্দা।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল সকালে বাড়ির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে তার প্রতিবেশী মুতালিব মিয়ার সঙ্গে মারামারি হয়। এতে আক্কাছ মিয়া নিহত হন। ভাতিজা আলম ও তার স্ত্রী মুক্তা আহত হন।’
নিহত আক্কাছ মিয়ার ভাতিজা সাকিবুর ইসলাম সাব্বির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবেশী মুতালিব মিয়ার সঙ্গে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সে নিজের জায়গা অতিক্রম করে আমাদের জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করেছে।
‘বুধবার সকালে তাদের সঙ্গে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তার চাচাতো ভাই আলম পুকুর থেকে গোসল করে আসার সময় তাকে মারধর করে মুতালিবের ছেলেরা। আলম এসে বিষয়টি বাড়িতে জানালে আমরা প্রতিবাদ করলে মুতালিবের ছেলেরা আমাদের লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
সাকিবুর ইসলাম সাব্বির বলেন, ‘হামলায় চাচা আক্কাছ মিয়া, চাচাতো ভাই আলম মিয়া ও আলমের স্ত্রী মুক্তা গুরুতর আহত হয়। তাদের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে আক্কাস মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ‘তার মাথায় দায়ের কোপ ও শাবলের আঘাত ছিল।’
বাজিতপুর থানার ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পরদিন ২১ এপ্রিল উভয় পক্ষই বাজিতপুর থানায় মামলা করেছে। আক্কাছ মিয়ার পক্ষে তার ভাই আরজ আলী আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
‘মামলা হওয়ার পরেই আমিনুল ইসলাম টিটু, জুয়েল, স্বপনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া আরেক আসামি লাল চাঁন জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আক্কাছ মিয়া মারা যাওয়ায় এখন আদালতের মাধ্যমে এজাহারে হত্যা মামলা সংযুক্ত হবে।’
অন্যপক্ষে মুতালিবের ছেলে জুয়েলের স্ত্রী ফারহানা আক্তার রুমীও আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।’