ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসাধারণের চলাচল বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচ রুটে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘সানকেন ডেক’ ছোট ১৮টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
রোববার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের নিচের ৫২টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়নি বিআইডব্লিউটিএ।
২০ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ রূপসী-৯-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচ রুটে চলাচলকারী ‘সানকেন ডেক’ ৭০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। তবে একটি সি-ট্রাক ও ঢাকা থেকে আসা দুটি লঞ্চ চালু করা হয়। এই রুটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী লঞ্চের সংখ্যা কম ছিল।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপপরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পাঁচ রুটে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের মোট ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। অন্যগুলো চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়নি।
‘নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ একটি, নারায়ণগঞ্জ-রামচন্দ্রপুরে দুটি, নারায়ণগঞ্জ-নড়িয়া একটি, নারায়ণগঞ্জ-মতলব একটি করে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) আরও বলেন, ‘এসব লঞ্চ চলাচলে বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। লঞ্চগুলো সেই শর্ত মানছে কি না তা এক মাস পরীক্ষা করা হবে।’
বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারকৃত লঞ্চসমূহ নির্দিষ্ট লাইনে চলাচলের পাশাপাশি সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটি লঞ্চ চলাচলের আগে সার্ভে সনদে উল্লেখিত মাস্টার ও চালক দ্বারা লঞ্চ পরিচালনা করা এবং সার্ভে সনদে উল্লেখিতসংখ্যক জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদি লঞ্চের যথাস্থানে রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
“আগামী ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উল্লেখিত ১৮ লঞ্চকে ‘সানকেন ডেক’বিশিষ্ট নৌযানের স্থলে হাইডেকবিশিষ্ট নৌযান প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে মুন্সীগঞ্জ ঘাট ধরে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে হবে।”
দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। আগের তুলনায় লঞ্চঘাটেও যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে সব লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমাদের ৭০টি লঞ্চের মধ্যে ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই।’