গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পিকআপচালক-মালিক-শ্রমিকরা।
পিকআপচালককে মারধরের ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগে তারা এ কর্মসূচির ডাক দেন।
রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এতে সড়কে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। গরমে জটে আটকে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শনিবার শহরের নাসা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম উপেন চন্দ্রের গাড়ি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় রিপন নামের এক যুবক পিকআপ নিয়ে একই পথে যাচ্ছিলেন।
পেছন থেকে রিপন হর্ন দিলে গাড়ির চালক সৌরভ হঠাৎ নেমে এসে তার গাড়ির ডোর গ্লাস ভেঙে দেন। এ ছাড়া তাকে গালিগালাজসহ হেনস্তা করেন।
এ ঘটনার সমাধানে রোববার সকালে জেলা পিকআপচালক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম হোসেন বিচারক উপেন চন্দ্রের কাছে যান। ঘটনা শুনে একপর্যায়ে উপেন চন্দ্র চড়াও হলে তার ড্রাইভার ও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কালামকে মারধর করেন। এতে তার কপালের নিচের অংশ জখম হয়।
এর প্রতিবাদে গাইবান্ধা বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন জেলা পিকআপচালক সমবায় সমিতির চালক, মালিক ও শ্রমিকরা।
গাইবান্ধা পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। ছবি: নিউজবাংলা
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার চালকের পিকআপের গ্লাস ভেঙে দেয়ায় মীমাংসার জন্য সকালে আমি বিচারকের বাড়ি যাই। তাকে শুধু প্রশ্ন করেছি ড্রাইভার কীভাবে অন্যের গাড়ির গ্লাস ভাঙে?
‘তখন বিচারক সাহেব ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে মারধর করতে তার লোকজনকে বলেন। পরে তারা লাঠি এনে আমার কপালে বাড়ি দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, ক্ষতিপূরণ চাই।’
এ বিষয়ে পিকআপচালক রিপন বলেন, ‘খানকাশরিফ রোডে জজ সাহেব গাড়ি থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পরও সেটি রাস্তার মাঝখানে ছিল। আমি দুইটা হর্ন দেই। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রাইভার ও পুলিশ এসে আমাকে গালিগালাজ করে ও লাঠি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে দেয়। তারা আমার শার্টের কলার ধরেও টানাহিঁচড়া করে।’
তবে এ ঘটনায় বিচারক উপেন চন্দ্রের মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার চালক সৌরভকেও পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’