বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাঠি হাতে রাখা সুন্নত: সমালোচনার জবাবে মেয়র আরিফ

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:২২

মেয়র আরিফুল হকের দাবি, ‘আমার হাতে বেত ছিল, ওই ছেলেও হাত পেতে আছে। কিন্তু বেতের বাড়ি তার হাতে লেগেছে ছবিতে এমন কোনো প্রমাণ তো নেই। এটা এক ধরনের সস্তা অপপ্রচার। এটা কেবল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা।’

এক ভ্যানচালককে বেত দিয়ে মারার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।মারার কথা অস্বীকার করলেও মেয়র জানিয়েছেন তার হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে।‘বেত্রাঘাতের’ ঘটনায় সমালোচনার জবাবে রোববার সিলেট সিটি মেয়র নগর ভবনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লাঠি হাতে রাখা সুন্নত, আমার হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে।’মেয়রের বিরুদ্ধে ভ্যানচালককে মারার অভিযাযোগ ওঠে শনিবার। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি সপ্ত দাসের অভিযোগ, চৌহাট্টার দিকে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন মেয়র আরিফ। এ সময় সড়কের ওপর একটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা দেখতে পান তিনি। তখন মেয়র গাড়ি থামিয়ে ওই ভানচালককে ডেকে নিয়ে তার হাতে থাকা বেত দিয়ে আঘাত করেন।রুবেল আহমদ নামে ওই ভ্যানচালকও অভিযোগ করেছেন, মেয়র তার হাতে বেত দিয়ে বাড়ি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সড়কে ভ্যান রেখে আমি পাশের দোকানে সিগারেট দিতে গিয়েছিলাম। মেয়রকে দেখে দৌড়ে ভ্যান সরাতে আসি। কিন্তু তার আগেই মেয়র লাঠি দিয়ে আমার হাতে বাড়ি দেন।’

ভ্যানচালককে মেয়রের বেত্রাঘাতের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অম্বরীষ দত্ত ফেসবুকে লেখেন (বানান ও বাক্য অপরিবর্তিত)- ‘ভিখারিরও আত্মসম্মান আছে। তা নস্যাৎ করার অধিকার কারোর নেই, আপনারও নেই। না, না, বেত হাতে ভ্যানচালককে ভয় দেখানোর অধিকারও আপনার নেই। এটা প্রকারান্তরে নগরবাসীকেই অপমান। মানুষ কিন্তু ভুলবে না এতো সহজে। সংযত হোন। ভুল স্বীকার করুন। নিজের সম্মান নিজে বজায় রাখুন।’তবে ছড়িয়ে পড়া ছবি সম্পর্কে মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘আমার হাতে বেত ছিল, ওই ছেলেও হাত পেতে আছে। কিন্তু বেতের বাড়ি তার হাতে লেগেছে ছবিতে এমন কোনো প্রমাণ তো নেই।’

তার দাবি, ‘এটা এক ধরনের সস্তা অপপ্রচার। এটা কেবল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করা।’হাতে সব সময়ই লাঠি থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেত উঁচিয়ে আমি তাকে ধমকের সুরে ভ্যান সরাতে বলেছি। এটা সত্য। ধমক তো আমি সবাইকেই দিই। এখন এটাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমি বেত্রাঘাত করেছি।’বেত্রাঘাতের কথা মেয়র অস্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ উঠেছে।

‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের’ সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, মেয়র প্রকাশ্যে রাস্তার হকার, রিকশা-ভ্যানচালকদের মারধর করেন, এমন অভিযোগ অনেক পুরোনো। একজন মেয়র বেত হাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, ইচ্ছে হলে বেত্রাঘাত করেন—এটি ভয়ংকর ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা এবং অপরাধ।

ভ্যানের সামনে থাকা গাড়িচালককে কিছু না বলার অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনে সিটি মেয়র বলেন, ‘সামনে ছিল স্পেশাল পিপির গাড়ি। আমি ধমক দেয়ার পর তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যান। একজন সিনিয়র আইনজীবী হওয়ায় তাকে আর কিছু বলিনি।’মেয়র বলেন, ‘যানজটমুক্ত নগর চাইবেন, আবার বিবেকবান লোকেরা সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন। তাহলে আমি কী করব?’

এ বিভাগের আরো খবর