ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৯ বছর পূর্ণে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্বজন ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
সাভার বাসস্ট্যান্ডে রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রানা প্লাজার সামনের স্মৃতিস্তম্ভ বেদিতে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় নিহত শ্রমিকের পরিবার ও স্বজনদের অশ্রুজলে সিক্ত হয় চারপাশ।
রানা প্লাজায় নিহত বাবা মনসুর শেখ ও মা রিহানা বেগমকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া রিহান খান।
খালুর সঙ্গে ব্যানার হাতে ফুল দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর সময় চোখের জলে স্মৃতিচারণা করে রিহান।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন একে একে ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘আজ থেকে ৯ বছর আগে এই দিনটিতে আমাদের হাজারের বেশি শ্রমিক ভবনের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত নিহত শ্রমিক পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ অনেক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি। এটা সরকারের ব্যর্থতা এবং এই ব্যর্থতার ফলাফল এখন দেখছি আমরা। রানা প্লাজার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এখনও বিচার হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতির কারণেই বিচারে দেরি হচ্ছে।’
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ইট-কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক। এ ছাড়া আহত হন ২ হাজারের বেশি শ্রমিক।