চট্টগ্রামে দু পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা আসকার বিন তারেক নিহতের ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক।
আটজনের নাম উল্লেখ করে ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শনিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানায় এই হত্যা মামলা করেন তিনি।
মামলার আট আসামি হলেন শোভন ধ্রুব, প্রান্ত, শ্রাবণ, শচীন, রুবেল দত্ত, অর্ক ও মহান চৌধুরী। এদের মধ্যে শোভন দত্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৮ জনকে এজহারনামীয় এবং আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক শোভনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর চেরাগী মোড়ে দু পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা আসকার বিন তারেক। তিনি নগরীর বিএফ শাহীন কলেজের ছাত্র ও নগরের জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনে অনুসারী সাব্বির ও সৈকত গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় তাদের মধ্যে। বিষয়টি পরে মিটমাট হলেও রাত ৯টার পর দু পক্ষই চেরাগী মোড়ে ফের অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বাধে। এর মধ্যেই ছুরিকাঘাতে তারেকের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। ঘটনায় কারা জড়িত, তা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বের করা হবে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে তারেকের মৃত্যু হয়।
‘তারেক নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাব্বির সাদেকের সমর্থক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’