গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখে।
শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আহসান হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়ক পারাপারের সময় ঢাকামুখী লেনে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান এক যুবক। আনুমানিক ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ওই মহাসড়কে প্রায় ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। মহাসড়কের মাঝখানে রোড ডিভাইডার না থাকায় কয়েক মাস আগেও একই স্থানে এক স্কুলশিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। আমরা বিআরটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দ্রুত সড়কে ডিভাইডার স্থাপনের অনুরোধ করা হয়েছে।’
দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আজমেরী ও অনাবিল পরিবহনের দুটি বাস পাল্লা দিয়ে বোর্ডবাজার অতিক্রম করছিল। এ সময় আজমেরী বাসের চাপায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। মহাসড়কে রোড ডিভাইডার থাকলে হয়তো এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।’
এদিকে ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকায় মহাসড়কের উভয় পাশের লেনে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।