বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বামীর ওপর অভিমান করে খাদিজা বেগম নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্তান নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালাবত্রিশ গ্রাম থেকে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৬ বছরের খাদিজা বালাবত্রিশ গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে এবং একই উপজেলার আলাদী মধ্যপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে প্রায় এক বছর ধরে বাবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে শিবগঞ্জ থানার এসআই রুম্মান হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনদের বরাতে এসআই জানান, প্রায় আট বছর আগে খাদিজা ও বেলালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলতে থাকে তাদের। হোসাইন নামের পাঁচ বছর বয়সী তাদের একটি ছেলেও রয়েছে।
এদিকে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন খাদিজা। সম্প্রতি ছেলে হোসাইন কার কাছে থাকবে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও নতুন করে কলহ শুরু হয় বলে জানতে পারে পুলিশ।
এসআই রুম্মান বলেন, ‘বেলাল তার কাছে ছেলেকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু খাদিজা ছেলেকে নিজের কাছেই রাখতে চান। বিষয়টি নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব দিন দিন বাড়তেই থাকে। একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে নিজের শয়নকক্ষে খাদিজার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।’
খবর পেয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এসআই রুম্মান আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর ওপর অভিমান থেকেই খাদিজা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। রোববার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।