বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টেরিবাজার এখন জমজমাট শপিংমল

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০৩

ঈদবাজার নিয়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছর আমাদের ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এবার সবার চোখ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার দিকে। এখন পর্যন্ত হওয়া বেচাবিক্রিতে আমরা সন্তুষ্ট।’

বছর পাঁচেক আগেও চট্টগ্রামে থান কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার ছিল টেরিবাজার। এই সময়ের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এ পাইকারি বাজারে।

পাইকারি থান কাপড়ের পাশাপাশি খুচরা ও পাইকারি হিসেবে অন্যান্য কাপড়ও বিক্রি শুরু হয়েছে এই বাজারে। গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ওয়ান স্টপ শপিংমল। যেখানে মিলছে শিশু ও নারী-পুরুষের সব ধরনের পোশাক।

বুধবার বিকেলে সরেজমিন টেরিবাজার ঘুরে দেখা যায়, মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কোথাও। বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট পুরো টেরিবাজার। অতিরিক্ত ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।

কয়েক বছরে টেরিবাজারে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শপিংমলেই মিলছে সব রকমের পোশাক। এমনই একটি মলের নাম রাজকুমারী। এর প্রথম তলায় রয়েছে থ্রি-পিস, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ থেকে শুরু করে নারীদের পোশাক। আর দ্বিতীয় তলায় মিলবে শিশু ও পুরুষদের পোশাক।

রাজকুমারী মলের প্রথম তলায় কথা হয় মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলাম। এত বেশি ভিড় হবে কল্পনাও করিনি। সামনে কী অবস্থা হতে পারে ভাবছি।

‘আগে তো এখানে থান কাপড়টাই ভালো পাওয়া যেত। এখন সব ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে এক দোকানে সব পাওয়া যাচ্ছে। মেয়ের জন্য থ্রি-পিস কিনেছি। দাম ও মানে বেশ ভালোই মনে হয়েছে।’

টেরিবাজারে রাজকুমারীর মতো এমন পাইকারি ওয়ান স্টপ দোকান (এক জায়গায় সব পাওয়া যায় এমন) অর্ধশতকের কম নয়। তবে এসব দোকানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় মেগামার্টের কথা। এখানে নারী-পুরুষ ও শিশুর সব ধরনের কাপড় ছাড়াও প্রসাধনী ও জুয়েলারি পাওয়া যায়।

উল্লেখযোগ্য আরও দোকান হলো- রাজবধূ, মাসুম ক্লথ স্টোর, বধুয়া শপিং, বৈঠক বাজার, ভাসাবি, মনে রেখো, শাহ আমানত, হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স, রাজস্থান, মল টুয়েন্টি ফোর, মহম্মদীয়া, হ্যালো ফ্যাশন, সানা ফ্যাশন, রাজপরী, জারা শপ, জাবেদ ক্লথ স্টোর, পরশমনি, শিরমনি, রাঙ্গুলি, ফেমাস, আলিশা, এ্যাম্পোরিয়াম, নিউ আজমির, রোশন ইত্যাদি।

ঈদবাজার নিয়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছর আমাদের ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এবার সবার চোখ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার দিকে। এখন পর্যন্ত হওয়া বেচাবিক্রিতে আমরা সন্তুষ্ট।

‘টেরিবাজারে স্থায়ী দোকানের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি হবে। তবে অস্থায়ী বা ভাসমানসহ হিসাব করলে এই সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ২০০ কোটি টাকার বেশি কাপড় তুলেছেন এবার।’ সেই অনুযায়ী ব্যবসাও হবে বলে আশা তার।

থান কাপড়ের পাইকারি বাজার থেকে টেরিবাজার শপিংমলনির্ভর হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে থান কাপড়ের বড় বাজার হিসেবে তো টেরিবাজার এখনও বিখ্যাত। তবে ইদানীং যেটা হচ্ছে, একই ছাদের নিচে সব পাওয়া যাচ্ছে। এটা একদিকে ভালো, এক ছাদের নিচে সবকিছু পাওয়া যায় বলে ক্রেতাদের সুবিধা হয়েছে। তারা সহজে কেনাকাটা করতে পারেন।

‘এটা গড়ে উঠতেছে মূলত ১০ থেকে ১৫ বছর আগে থেকে। তবে মূল পরিবর্তনটা হয়েছে মূলত গত পাঁচ বছরের মধ্যে। বর্তমানে টেরিবাজারে ওয়ান স্টপ শপিংমল আছে প্রায় ৫০টি।’

তবে বাংলা ১২ বৈশাখে ঐতিহাসিক জব্বারের বলি খেলার কারণে ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিমের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছর তো বন্ধ ছিলই। তখন বলি খেলাও বন্ধ ছিল। তবে এবারের বলি খেলাটা রমজানে পড়েছে, তাও আবার শেষ ১০ দিনের মধ্যে। আসলে ঈদবাজারে ব্যবসায়ীদের টার্গেটই থাকে রমজানের শেষ ১০ দিন।

‘বলি খেলার কারণে যেটা হবে পুরো এলাকাটা যানজট হয়ে যাবে, তাই এর প্রভাব মার্কেটে বেচাকেনার ওপরও পড়বে। তবে আমরা ইতোমধ্যেই মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের যেন ক্ষতি না হয়, সেই ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর