নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় শাহাদাৎ হোসেন নামে এক ইমামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুসরাত সাহারা বীতির আদালত শনিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ৪৩ বছরের শাহাদাৎ আড়াইহাজারের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি উত্তর মাসদাইর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম এবং ওই এলাকার নুরানি হেজাবখানার খতিব।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে- এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার কিশোরীর মা ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতে তোলে পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই কিশোরীও আদালতে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বর্ণনা (২২ ধারায় জবানবন্দি) দিয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীর ছোট ভাই নুরানি হেফজখানায় আবাসিক থেকে লেখাপড়া করে। ভাইকে খাবার দিতে প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করত কিশোরী। সেখানে একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শাহাদাৎ। কিশোরী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন ইমামকে জিজ্ঞাসা করলেও তিনি আর কখনও এ ধরনের কথা বলবেন না বলে জানান।
গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার বাড়ি থেকে খাবার কিনতে যায় জামতলা এলাকায়। পথে শাহাদাৎ তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় নেওয়াজ মঞ্জিল নামে একটি বাসায় নিয়ে যান। এরপর তাকে সেখানে আটকে রাখেন। পরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
১৯ এপ্রিল ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ইমাম। সে বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে ঘটনা জানায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছিল। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যে সে ফিরে আসে। পরে তার মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।