বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ভাতিজাকে মারধর

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪১

রংপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এএসএম সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি। গতকাল গরুটি জীবিত ছিল। কোনো সমস্যা ছিল না। মাংস খাওয়া যাবে।’

রংপুরে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে জবাই করা গরুটি মরা ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সেনেটারি বিভাগ।

মহানগরীর লালবাগ হাটে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ, ব্যবসায়ী সমিতি, মাংস বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টরা বসে বিষয়টি মিটমাট করেন।

তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার বাজারে তৈয়বুর রহমান নামে এক মাংস বিক্রেতা ২ মণ ১০ কেজি ওজনের একটি গরু জবাই করেন। তৈয়বুর রহমানের কাছ থেকে সেই গরুর মাংস কিনে এনে লালবাগ হাটে বিক্রি শুরু করেন মো. সাগর।

সাগরের চাচা আনিছুর রহমান ওই মাংস মরা গরুর বলে প্রচার চালান। আনিছুর নিজেও একজন মাংস বিক্রেতা। তিনি মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি লালবাগ হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে জানান। ঘটনাটি লালবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আনিছুর তার ভাতিজা সাগরকে বেধড়ক মারধর করেন।

ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাকে জানানোর পর তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয় ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজন আসে। সবাই দেখেছে মাংস মরা গরুর নয়। এখানে জবাই না হওয়ায় পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়। পরে সাগর মাহিগঞ্জে মাংসগুলো ফেরত পাঠিয়েছে।

এসআই বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১১টার দিকে বাজারে আসি। পরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর জানান মাংসগুলো মরা গরুর নয়। তখন বিষয়টি মিটমাট হয়। আমরা ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

রংপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এএসএম সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি। গতকাল গরুটি জীবিত ছিল। কোনো সমস্যা ছিল না। মাংস খাওয়া যাবে।’

সাগর বলেন, ‘আমি নিজেই মাহিগঞ্জে ছিলাম। সেখান থেকে গোস্ত কিনে আসি (এসে) বিক্রি শুরু করি। চাচা আসি কয় মরা গরু। সবাইকে এই সংবাদ দেয়। মানুষজন আসি গোস্ত বিক্রি বন্ধ করে দিচে। চাচা খুব মারিছে।’

সাগরের দাবি, আনিছুর তার ব্যবসা বন্ধ করতে এ কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে আনিছুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর