ট্রেনে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই ভোগান্তিতে পড়েছেন অনলাইনে টিকিটপ্রত্যাশীরা।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর সোয়া ৯টার দিকে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হয়।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এদিন সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর পাঁচটি স্টেশনে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, সরাসরি ছাড়াও একই সময়ে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা রেলওয়ের ওয়েবসাইটে, তবে এই প্রক্রিয়া থেমে ছিল সকাল থেকে। টিকিট কেনার জন্য সকাল ৮টার পর ওয়েবসাইটে ঢুকলে সেখানে একটি বার্তা দেখা যাচ্ছিল।
রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইংরেজিতে তিনটি বাক্য লেখা ছিল, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘আপনি আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। মানসম্পন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করতে আমরা আপনাকে লাইনে রাখছি। ধৈর্য ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
রেলের ই-টিকেটিং সাইটে দেখানো হচ্ছে এমন বার্তা। ছবি:সংগৃহীত
টিকিট বিক্রিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের সাইটেও ছিল একই অবস্থা। সহজ ডটকমের ওয়েবসাইটে ঢুকলে ট্রেন লেখা ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলে রেলওয়ের ওয়েব পেজে গিয়ে একই বার্তা দেখানো হয়।
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই বাংলাদেশ রেলওয়ের এমন সেবা নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। তাদের একজন জহুরুল ইসলাম রেলওয়ের সাইটের স্ক্রিনশট দিয়ে লেখেন, ‘কিসের এত নাটক।’
আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন নামের এক টিকিটপ্রত্যাশী একইভাবে স্ক্রিনশট ও হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘অ্যাপে তাও লগইন হতো, ফার্স্ট ক্লাস না পেলেও অন্তত টিকিট পাওয়া যেত। আর এখন ধৈর্য ধরে চেষ্টা করার জন্য ধন্যবাদ পাওয়া যায়।’
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলীকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
সহজ ডটকমের হটলাইনে যোগাযোগ করা হলে কলটেকার জানান, সার্ভার জটিলতা সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়ার এখতিয়ার নেই তার।