নির্বাচনী বিরোধের জেরে বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরুল ইসলাম তরফদার মনিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার স্ত্রী আছিয়া আক্তার রত্নাকেও মারধর করেছে হামলাকারীরা।
বাগেরহাট শহরের হারিখালী এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত মনিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন স্বজনরা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মনিরুলের স্ত্রী আছিয়ার ভাষ্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম ছোট ও তার লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন।
৪৫ বছর বয়সী মনিরুলের বাড়ি বাগেরহাট সদরের ভাটসালা গ্রামে। তিনি গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
আছিয়া জানান, হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ৩৫ বছর বয়সী তরিকুল ইসলাম ছোট ভাটসালা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একসময় বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের পদে ছিলেন।
গত ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন আছিয়া।
তিনি বলেন, ‘এলাকায় ইফতার মাহফিল শেষে আমরা বাইকে বাগেরহাট শহরে ফিরছিলাম। মুনিগঞ্জ সেতু থেকে নেমে হারিখালীতে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা তরিকুলসহ ১২-১৪ জন আমাদের গতি রোধ করে।
‘বিপদ বুঝতে পেরে মনিরুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন ওরা আমার স্বামীকে ধরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমাকেও মারধর করেছে। আমার শিশুকন্যাসহ আমাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশের খাদে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে মনিরুলকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা চলে যায়।’
আছিয়া আরও বলেন, ‘তরিকুলের বড় ভাই মতি নির্বাচনে আমার স্বামীর কাছে হেরে যায়। এরপর থেকে আমাদের মেরে ফেলার জন্য তারা হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আমাদের বাড়িও একবার ঘেরাও করেছিল তারা। ওই সময় মনিরুল বাড়ি না থাকায় বেঁচে যায়। আজ মেরে ফেলার জন্য ওরা আমার স্বামীকে কুপিয়েছে, তার অবস্থা ভালো না।’
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি আজিজুল বলেন, ‘আহত ইউপি সদস্য মনিরুল খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।’