প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় হলে মোবাইল ফোন সঙ্গে নেয়ায় দুজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান এ দণ্ড দেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া মহাবিদ্যালয়ের দুই পরীক্ষার্থীকে এ সাজা দেয়া হয়।
এ ছাড়া চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেরিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসায় তিনজনকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘নয়নী সরকার ও ফেরদৌসী আক্তার নামে দুই পরীক্ষার্থী হলে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরে তাদের কাছ থেকে ফোন জব্দ করা হয়। বিষয়টি অবৈধ হওয়ায় তাদের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।’
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাদারীপুরের পাঁচ উপজেলার সব পরীক্ষার্থীর নিয়োগ পরীক্ষা জেলা সদরের ২১ কেন্দ্রে হয়েছে। ১২ হাজার ৯২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেন।
‘প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদারীপুরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা পরীক্ষা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সকাল ১০টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয়েছে।
‘সারা দেশের ২২ জেলায় দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা একযোগে হয়েছে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি দায়িত্ব পালন করেছে।’