বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লালমনিরহাটে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিয়ে ‘নাটকীয়তা’

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৪০

জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। ওই তিন কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণেই এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোয় মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।

লালমনিরহাটে সময়মতো মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় কয়েকটি কেন্দ্রে তিন শতাধিক প্রার্থী যথাসময়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি। এ জন্য জেলা প্রশাসকের অবহেলাকে দায়ী করে কেন্দ্রগুলোয় বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা।

শুক্রবার লালমনিরহাট জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় তাদের অনেককেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

জানা যায়, এবার লালমনিরহাটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ জন। নিয়োগ পরীক্ষাটি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা- এই চার সেটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এর মধ্যে জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। ওই তিন কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণেই এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোয় মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।

পরে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের নির্দেশনায় ওই কেন্দ্রগুলোয় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত মেঘনা সেটের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যান।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসককে দায়ী করে শামসুর রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমার মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র এখনও আসেনি। পরে কেন্দ্রপ্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমরা বিক্ষোভ করি। বিক্ষোভের একপর্যায়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পর আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রপ্রধান মাহবুবুল আলম মিঠু বলেন, ‘মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেরিতে আসায় আমরা দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের পরীক্ষাটি নিয়েছি।’

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুব আলী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের ১০টার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করাই এবং বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু করি। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষার কক্ষগুলোয় প্রশ্ন দিতে গিয়ে ধরা পড়ে মেঘনা সেটের প্রশ্ন নেই। পরে তাদের রুমের মধ্যেই অপেক্ষা করাই এবং দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ওই সেটের পরীক্ষা গ্রহণ করি।’

সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র সময়মতো না আসায় এই সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে যেসব কেন্দ্রে এই সমস্যা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের কিছু পর মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।’

এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না আনার কারণে অনেকে পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রবেশপত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনার বিষয়ে বলা আছে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনেনি তাদের তো পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই।’

এদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে লালমনিরহাটে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল রানা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।

পুলিশ জানায়, কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলার সময় অসদুপায়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার দায়ে তাদের আটক করা হয়েছে।

আটক হওয়া মহিদুল ইসলাম পাটগ্রাম পোস্ট অফিসপাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে এবং পীযূষ কান্তি রায় সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকার সন্তোষ কুমার রায়ের ছেলে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানান, আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর