বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এক বিন্দু রক্ত থাকতেও টিএসসিতে নামাজের জায়গা ছাড়া হবে না’

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কোনো উপাসনালয় নেই। সেখানে একটি জায়গায় ছেলেরা নামাজ পড়েন। সম্প্রতি একদল মেয়ে দাবি করছেন, তাদের নামাজের জায়গাও করে দিতে হবে। গত ১২ এপ্রিল অনেকটা জোর করেই মেয়েরা ছেলেদের নামাজের জায়গার পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে। তবে সেই রাতেই নামাজের সরঞ্জাম সরিয়ে নেয় কে বা কারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে এক দল মেয়ে জোর করে নামাজের জায়গা বানানোর পর সেটি উৎখাতের সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাইয়ের পির রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, এক বিন্দু রক্ত থাকতেও টিএসসিতে নামাজের জায়গা ছাড়া হবে না।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

সুইডেনে কোরান অবমাননা ও ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ শেষে মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিল।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ইমান ও চরিত্র বিধ্বংসী কার্যক্রম সুন্দরভাবে চলবে কিন্তু ছেলে-মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আর সরকার বসে বসে চুপ করে দেখছে।

‘এতে আমরা বলব, সরকার নামাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এত মুসলমান থাকার পরেও গোটা কয়েক নাস্তিক নামাজের জায়গা বন্ধ করবে আর আমরা তা দেখব, তা হবে না। এক বিন্দু রক্ত থাকতে তা হতে দেয়া হবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কোনো উপাসনালয় নেই। সেখানে একটি জায়গায় ছেলেরা নামাজ পড়েন। সম্প্রতি একদল মেয়ে দাবি করছেন, তাদের নামাজের জায়গাও করে দিতে হবে।

জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। ছবি: সাইফুল ইসলাম

গত ১২ এপ্রিল অনেকটা জোর করেই মেয়েরা ছেলেদের নামাজের জায়গার পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে। তবে সেই রাতেই নামাজের সরঞ্জাম সরিয়ে নেয় কে বা কারা।

সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য ব্যবহৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে মেয়েদের নামাজ পড়ার আলাদা জায়গার দাবিতে যেসব ঘটনা ঘটছে, তার পেছনে কেবল ইবাদতের আকাঙ্ক্ষা নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে, তা নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।

এর কারণ এই কেন্দ্রের রাস্তার উল্টো পাশে রোকেয়া হলেই মেয়েদের নামাজের জন্য স্থান চিহ্নিত আছে। আবার ৩-৪ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ আছে, সেখানে মেয়েদের নামাজের কক্ষটি খুব ছোট হলেও তা বড় করার দাবি ওঠেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী, অধিকারকর্মীরা বলছেন, মুসলমানদের পাশাপাশি এই কেন্দ্রে যদি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যদি একই দাবি তুলে সোচ্চার হয়, তাহলে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে টিএসসির পরিচয় প্রার্থনাকেন্দ্র হয়ে যাবে।

সুইডেনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দাবি

ইউরোপের এই দেশটির এক ডানপন্থি রাজনীতিক সম্প্রতি কোরআনে আগুন দিয়েছেন। এই ঘটনায় সে দেশের মুসলিমরা বিক্ষোভ করছে।

এই ঘটনায় সুইডেনের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব চাইছেন চরমোনাইয়ের পির। বলেন, ‘বাংলাদেশে শতকরা ৯২ জনের মতো মুসলমান বসবাস করে। এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সরকারকে বলব, প্রয়োজনে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।’

তিনি বলেন, ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যাবে মুসলমানরা কোন ধর্ম, জাতির প্রতি আক্রমণ করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এমন পাওয়া যাবে না। কিন্তু সুইডেনের মতো একটা সভ্য রাষ্ট্রে আজ কোরান অবমাননা হচ্ছে। জাতিসংঘের এখন কোনো কার্যকারিতা নেই, ওইটা জাতিসংঘ না, মুসলমান নিধনকারী সংঘ।

‘ইসরাইলের দখলদাররা আজ ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন শুরু করেছে তা তামাম দুনিয়ার মুসলমান প্রতিহত করবে।’

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, 'মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইহুদি৷ আমাদের ইসলামী বিশ্ব নেতারা শত্রুকে বন্ধুকে আজ বন্ধু বানাচ্ছে আর বন্ধুকে শত্রু বানাচ্ছে।’

সভাপতির বক্তব্যে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'সুইডেনে কোরান পুড়ে নাই। বিশ্ব মুসলমানের কলিজা পুড়েছে। এর ফলে যারা মুসল্মানের শত্রু তারা দাউ দাউ করে জ্বলে। সাবধান করে দিতে চাই, কোরানের উপর কোন আঘাত হানবেন না।’

ইসলামী আন্দোলেনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আতাউর রহমানসহ দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতারাও এ সময় বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর