ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় নতুন করে আরও ২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। সব মিলিয়ে মৃত্যুসংখ্যা এখন ২৯ হাজার ১২৭।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২১ জন। এদের মধ্যে ১৪ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকা জেলায় ১২ জন। বাকি চার জেলায় সাতজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০৬ জনে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯২১টি নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৬ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে, গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৩৭৩ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৮১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত সময়ে।