আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সকাল ৮টা থেকে এই টিকিট বিক্রি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
গত ১৩ এপ্রিল এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করলেও ৩ মে ঈদ উদযাপন হিসেবে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। বিড়ম্বনা রোধে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনসহ নগরীর পাঁচটি স্টেশনে বিক্রি হবে টিকিট।
যে ৫ কেন্দ্রে ট্রেনের টিকিট
দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকিট যারা নিতে চান, তাদের যেতে হবে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে গেলে পাওয়া যাবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট।
ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট যারা নিতে চান তাদের যেতে হবে তেজগাঁও স্টেশন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মিলবে মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট।
সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।
এ পাঁচটি স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু সকাল ৮টা থেকে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে অগ্রিম টিকিট একবার কেনার পর আর ফেরত দেয়া যাবে না।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঈদে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। সেগুলো শুধু স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।
২৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে ২৩ এপ্রিল। ২৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ এপ্রিল। ২৯ এপ্রিলের টিকিট কেনা যাবে ২৫ এপ্রিল। ৩০ এপ্রিলের টিকিটের জন্য যেতে হবে ২৬ এপ্রিল। আর ১ মে যারা ভ্রমণ করতে চান তাদের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ এপ্রিল।
৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল। এর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ দুটি ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল একই সময়ে চলাচল করবে।
ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেনটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত রেক দিয়ে চলাচল করবে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত।
এ ছাড়া ঈদের দিন ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়ায় স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়ায় স্পেশাল-২ চলাচল করবে।
রেলমন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন জানান, ঈদের সাত দিন আগে অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনগুলোর ডে অফ থাকবে না। ঈদের পর ডে অফ কার্যকর করা হবে। ডে অফ প্রত্যাহারের ফলে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তনগর ট্রেন বিশেষভাবে পরিচালিত হবে। ঈদের দিন কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
ঈদের পর ৫ মে যারা ঢাকায় ফিরবেন তাদের জন্য ১ মে, ৬ মের জন্য ২ মে, ৭ মের জন্য ৩ মে এবং ৮ মের জন্য ৪ মে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২, ৩ ও ৪ মে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করা হবে। সে ক্ষেত্রে ১ মে সন্ধ্যার পর নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হবে।