বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমে বাধা দেয়ায় কীটনাশক পানে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:০৪

নাজিরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একইসঙ্গে বাড়ির সামনের কবরস্থানে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেউই মুখ খুলছেন না।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রেমে বাধা দেয়ায় কীটনাশক পান করে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তাদের সম্পর্কে পরিবারের অসম্মতি থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের চানদকাঠী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে প্রেমিকার বাড়ির সামনে কবরস্থানে তারা বিষপান করেন।

নিহত মেয়ের নাম মরিয়া খানম। সে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে উপজেলার মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।

আর নিহত ছেলের নাম ইয়াছিন তালুকদার। তিনি জেলার নেছারবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়া গ্রামের মো. হাফিজ তালুকদারের ছেলে। ইয়াছিন তার পিতার সঙ্গে ধান-চালের ব্যবসা করতেন।

নিহতরা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।

ইয়াছিনের বাবা জানান, ইয়াছিন গত তিন/চার দিন আগে তার ফুফা মোজাম্মেল হক হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে তার দোকানে ঘুমাতে যায় ইয়াছিন। রাত তিনটার দিকে ইয়াছিনের ফুফু ছাবিনা ইয়াছমিন ফোন করে জানান, ইয়াছিন ও বাড়ির পাশের এক মেয়ে একসঙ্গে বিষপান করেছে।

নিহত মারিয়ার মা শামীমা নাছরিন বলেন, ‘মারিয়া রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে তার ঘুমাতে যায়। রাত দুুইটার দিকে বাড়ির সামনের কবরস্থান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার পাই। পরে মারিয়া ও ইয়াছিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।’

‘হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মারিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অসিত মিস্ত্রী বলেন, ‘মারিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ভোরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়। তারা কীটনাশক জাতীয় কিছু খায়।’

স্থানীয়রা জানান, মারিয়ার বাবা বাড়িতে থাকেন না। তার মা এ প্রেমে বাধা দেন। সন্ধ্যার দিকে মেয়েকে বকা দেন। এর জেরে প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে আত্মহত্যা করে।

ওসি হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা একইসঙ্গে বাড়ির সামনের কবরস্থানে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে নিহতদের পরিবারের কেউই মুখ খুলছেন না।

এ বিভাগের আরো খবর