চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উড়ির চর এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড।
সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কিরিটি রঞ্জন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মরদেহটি একই দুর্ঘটনায় নিহত নুসরাত জাহানের যমজ বোন আদিবা ও আলিফার মধ্যে যেকোনো এক জনের। এখনো নিখোঁজ দুই জন।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ঘাটে যাওয়ার পথে বুধবার সকালে সন্দ্বীপ চ্যানেলে কালবৈশাখি ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। পরে অভিযান চালিয়ে ১৪ বছরের নুসরাত জাহান আনিকার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
তখন এক শিশু নিখোঁজ থাকার তথ্য জানালেও পরে জানানো হয় তিন শিশু নিখোঁজ। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান বলেন, ‘শুরুতে এক জন নিখোঁজের কথা বলা হলেও পরে জানা যায় নিখোঁজ তিন জন। তাদের মধ্যে দুজন নিহত আনিকার ছোট দুই যমজ বোন ৮ বছরের আদিবা ও আলিফা। অন্যজন হল ১০ বছর বয়সী মনির হোসেন সৈকত।
এর মধ্যে শুক্রবার সকালে দুই যমজ বোনের এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্টেশন অফিসার কিরিটি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় মরদেহটি আদিবা নাকি আলিফার, তাৎক্ষণিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
‘সকালে স্থানীয়রা সমুদ্র তীরে মরদেহটি ভাসতে দেখে আমাদের খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে।’