মাগুরা শহরের টিটিডিসি পাড়ায় নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার সৎ-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সৎমাকে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন ফয়সাল জামান। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন এসব নিশ্চিত করেছেন।
টিটিডিসি পাড়ায় ওই বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করা হয় ফাতেমা খাতুনের গলাকাটা মরদেহ। পরে তার ভাগ্নি স্বপ্না খাতুন থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
ওসি জানান, হত্যার সময় ফয়সাল বাড়িতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফাতেমার স্বামী ওহিদুজ্জামান। মরদেহ উদ্ধারের সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ফয়সালের।
ওসি আরও জানান, ফাতেমার মরদেহের পাশে রক্তমাখা পায়ের ছাপ দেখে ফয়সালকে এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফয়সালের জবানবন্দির বরাতে ওসি নাসির জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে সৎমা ফাতেমার সঙ্গে বিবাদ চলত ফয়সালের। ঘটনার দিন সকালে কাপড় ধোয়ার পাউডার নিয়ে তাদের তর্কাতর্কি হয়। দুপুরে খাবার চাইলে ফাতেমা তাকে রোজা রাখার কথা বলে খেতে দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বঁটি দিয়ে সৎমাকে তিনি কুপিয়ে হত্যা করেন।