বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক পেজটি কি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর?

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৫৭

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ফেসবুক পেজটেজ কিছু নেই, আমি ওসব চালাই না। এসব থেকে আমার নামে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে দুইবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’  

সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা ঘোষণা না করলেও দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ প্রতিষ্ঠাতার নামে একটি ফেসবুক পেজ সম্প্রতি খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে পেজটি থেকে বিতর্কিত পোস্ট দেয়া হচ্ছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এ পেজটি তার নয়। তিনি এটি পরিচালনা করেন না। এ পেজের কর্মকাণ্ড নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

ফেসবুক পেজটি ঘেঁটে দেখা যায়, এটি ২০১৫ সালের ১১ জুন খোলা হয়েছে। এটি থেকে নিয়মিত দেয়া হয় রাজনীতিসহ নানান বিষয়ে মতামতসংক্রান্ত পোস্ট। গত ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একটি পোস্ট দেয়া হয় সেই পেজ থেকে।

পোস্টে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের বর্ষবরণের মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্যতম অনুষঙ্গ টেপা পুতুলের ছবি। ছবির নিচে লেখা: ‘এই হলো আমাদের প্রগতিশীলদের সৃষ্টিশীলতা৷ এইটা কি বানিয়েছে কেউ বুঝতে পারছেন? এমন বিজ্ঞানীদের লৈয়া আমরা কি করিব?’ [বানান অপরিবর্তিত রেখে]

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দেখা যায় পোস্টটিতে ১৩ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি ‘হা-হা’ রিয়্যাক্ট। এ ছাড়া ১ হাজার ৮০০ কমেন্ট ও ৫ শতাধিক শেয়ার হয়েছে পোস্টটি। সেই কমেন্টের প্রায় সবগুলোতেই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কটাক্ষ করা হয়েছে নানাভাবে। ছিল ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দেয়ার চেষ্টা। অনেকের কমেন্টে ছিল পয়লা বৈশাখের বিরোধিতা।

১৫ এপ্রিল সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে আরও একটি ছবি পোস্ট করা হয় সেই পেজ থেকে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি সমাবেশে টিপ পরার পক্ষে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুজন তরুণী, তাদের পাশে রয়েছেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘ওড়না পরবো না, টিপ পরবো, কারো কোনো সমস্যা? এবার ১লা বৈশাখে নারী-পুরুষ সকলে বড় বড় টিপ পরবো।’ [বানান অপরিবর্তিত]

ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘স্যারের অন্তত সমস্যা নেই!’

এর আগে ১২ এপ্রিল বেলা ১টা ২৪ মিনিটে সেই পেজ থেকে সদ্য পদ হারানো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গুণকীর্তন করে আরও একটা পোস্ট দেয়া হয়।

এমন সব পোস্ট দেখে পেজটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তারা এগুলোকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মন্তব্য বলে মনে করছেন এবং এগুলোকে তার অবস্থান বলে বিবেচনা করছেন।

বিষয়টি জানতে নিউজবাংলা কথা বলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ফেসবুক পেজটেজ কিছু নেই, আমি ওসব চালাই না। এসব থেকে আমার নামে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে দুইবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ পেজ নিয়ে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ধানমন্ডি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর পরপরই তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে কিছু নথিপত্র চেয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তদন্তের পরও ফেসবুক পেজ বন্ধ হয়নি বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ।

২০২১ সালে ২ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় তার পক্ষ থেকে আবারও জিডি করা হয়। সেখানে আবেদনকারী ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) মনজুর কাদির আহমেদ।

মনজুর কাদির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই পেজে আমার মোবাইল নম্বরও দেয়া হয়েছিল। ডায়েরি করেছিলাম। কিন্তু এরপর আমার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর