বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুদকের অভিযান, বালুখেকো সেলিমের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২২ ২০:১৭

দুদক সচিব জানান, গত ৬ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটন হয়েছে।

চাঁদপুরের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই অভিযানে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটন হয়েছে।

দুদক সচিব বলেন, ‘চাঁদপুরে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজি এবং মেঘনা-পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম খান।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত সেলিম খানের বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা ক্ষতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে অননুমোদিতভাবে বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’

দুদক সচিব জানান, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা রেজিস্ট্রার, জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা ও তথ্যাদি সংগ্রহ করেছেন অভিযান পরিচালনাকারীরা।

এরপর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে চাঁদপুর-হাইমচর রাস্তাসংলগ্ন প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ এলাকা এবং মেঘনা নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলন এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

সরেজমিন পরিদর্শন ও সংগৃহীত যাবতীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, যা প্রতিবেদন আকারে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান দুদক সচিব।

এ বিভাগের আরো খবর