তরুণদের মধ্যে ধূমপানের হার বাড়ছে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্পিকার বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু তামাক ও তামাকজাতপণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এসব উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
‘দেশে তরুণদের মধ্যে ধূমপানসহ তামাকপণ্য ব্যবহারের হার বাড়ছে। তাদের রক্ষা করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এজন্য এখন থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সবার মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, বাস্তবে এর প্রয়োগও জরুরি।’
তামাকপণ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করেন স্পিকার। তিনি বলেন, ‘দেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন ধরনের এসব পণ্যে থাকা উপাদান সিগারেটের মতোই সমান ক্ষতিকর। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে, এসব থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
পার্লামেন্টারি ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত তামাক নিয়ন্ত্রণে সংসদ সদস্যবৃন্দের বিভিন্ন উদ্যোগ স্পিকারের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ মারা যান। দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণও তামাক।
‘এর কারণেই আমাদের স্বাস্থ্যবাজেটের বেশিরভাগ অর্থ চলে যায় চিকিৎসা সেবার পেছনে। এসব থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি। পাশাপাশি তামাকপণ্যে করারোপ করে মূল্য বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। পার্লামেন্টারি ফোরামের মাধ্যমে সংসদ সদস্যবৃন্দ এর সবকিছু নিয়েই কাজ করছেন।’