নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে মা ও তার ৩ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ঝড়ে ছিঁড়ে যাওয়া তারটি দেখে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। এ কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। যদিও এ অভিযোগ নাকচ করেছে পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার পূর্ব চরবাটার ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চর জব্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহ আলম ঘটনাস্থল থেকে জানান, মৃতরা হলেন ৩৫ বছরের কোহিনুর আক্তার ও তার ৩ বছরের ছেলে মো. ইয়াছিন।
স্থানীয়দের বরাতে শাহ আলম জানান, বুধবার কালবৈশাখী ঝড়ে ওই বাগানের বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গিয়ে সেটি দেখে জানায়, মেরামতের জন্য সরঞ্জাম লাগবে; সেগুলো নিয়ে ফিরে আসবে। তবে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ছোট্ট ইয়াছিন ওই বাগানে খেলতে গিয়ে ছেঁড়া তারটি ধরেই চিৎকার দেয়। কোহিনুর তাকে বাঁচাতে জড়িয়ে ধরেন। দুজনই বিদ্যুতস্পর্শে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান সুবর্ণচর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ফসিউল হক জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ঝড়ে গাছ পড়ে অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে যায়। আমাদের কর্মীরা এসব লাইনের তার মেরামতে কাজ করছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কেউ আমাদের কোনো খবর দেয়নি। খবর পেলে অবশ্যই আমাদের কর্মীরা কাজ করত। তাহলে এমন দুঃখজনক ঘটনা হয়তো ঘটত না।’