রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দোকান কর্মচারী মো. মোরসালিনের মৃত্যুও হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানানো হয়। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মনিকা খন্দকার ময়নাতদন্ত করেন।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে প্রথমে প্রাণ হারানো নাহিদ মিয়ার মৃত্যুর কারণ হিসেবেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি মারা যান মঙ্গলবার রাতে। তার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার মধ্যে মোরসালিনের মৃত্যুর তথ্য আসে বৃহস্পতিবার ভোরে। তিনি ঢাকা মেডিক্যালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউয়ে ভর্তি ছিলেন।
মর্গের এক কর্মী জানান, মোরসালিনের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাডাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
তার স্ত্রীর নাম অনি আখতার মিতু। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। মেয়ে হুমাইরা ইসলাম লামহার বয়স পাঁচ, ছেলে আমির হামজার বয়স তিনের কাছাকাছি।
মোরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মরদেহ কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকার বড় মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
নিউ মার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর বলেন, ‘মিরপুর রোডের নিউ মার্কেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।’
প্রেক্ষাপট
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন মোরসালিন। পরে শাকিল ও আরেক যুবক রিকশায় করে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্ত্রী মিতুর তথ্য অনুযায়ী, নিউ মার্কেটে একটি শার্টের দোকানে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন মোরসালিন। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলে যেতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। দুপুরে ইটের আঘাতে আহত হন তিনি।