শেরপুরের নকলায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে দেয়া হয়েছে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিত বাবুল তিলক দাস ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার পরেশ তিলক দাসের ছেলে বাবুল তিলক দাস।
আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া জানান, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কলেজে যাওয়ার পথে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান বাবুল তিলক দাস। পরিবারের লোকজনের খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই ছাত্রী নিজেই তার মাকে ফোন দিয়ে জানান, বাবুল তিলক তাকে অপহরণ করে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় আটকে রেখেছে।
এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর বাবা ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে একমাত্র আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
একই বছরের ৩ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন নকলা উপপরিদর্শক নিরঞ্জন দাস। ২০২০ সালের ১২ মার্চ জামিনে বের হন বাবুল। পলাতক থাকায় ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাবুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাসহ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, ‘সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালত রায় দিয়েছে। আসামির উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে।’