বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপরাধ গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৪৫

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের অপরাধটা কী? ওনাদের অপরাধ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধ। এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, এই দেশে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, এই দেশকে তারা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের যে লক্ষ্যগুলো ছিল সেই লক্ষ্যগুলোকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে তারা আজকে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে কেন হটাতে হবে, অপরাধটা কী- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বিবেচনায় ‘তিনটি অপরাধের কথা’ উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ওনাদের অপরাধ গণতন্ত্রকে ধবংস করা। তারা ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।’

বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নতুন আংশিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।

আগের দিন কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে বলেন, সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার। এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব এবং ড. কামাল হোসেনসহ তাদের এক গ্রুপ। তাদের সঙ্গে আবার যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ কারা কারা… তারা সবাই নাকি এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাবে। আমার প্রশ্ন, অপরাধটা কী আওয়ামী লীগের?’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হতে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সে জন্য তারা এই সরকারকে হটাতে চায়?’

জবাবে ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের অপরাধটা কী? ওনাদের অপরাধ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধ।

‘এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, এই দেশে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, এই দেশকে তারা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের যে লক্ষ্যগুলো ছিল, সেই লক্ষ্যগুলোকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে তারা আজকে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নতুন আংশিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে তারা দেশ পরিচালনা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, ব্যর্থ হয়েছেন দেশকে একটা সুষ্ঠু জায়গায় নিয়ে আসতে এবং সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে।

‘এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে আজকে আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ দেশ থেকে গণতন্ত্র হরণ করেছে, ছাত্রদের যে ন্যূনতম অধিকারগুলো রয়েছে… ন্যূনতম খরচের ব্যয়ে শিক্ষালাভ করা, সেই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

‘একই সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম দুর্যোগের দিকে গেছে এবং ভয়াবহ এক দুর্নীতির করাল গ্রাসে এ দেশকে তারা পতিত করেছে।’

এসব ‘কারণে’ অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন ফখরুল। বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধায়নে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষ পার্লামেন্ট তৈরি করা- এটাই এখন সবচেয়ে বড় দাবি এবং আন্দোলন।’

‘দেশে কোনো সরকার নেই’

নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে নির্লিপ্ততার অভিযোগও আনেন ফখরুল। বলেন, ‘এই সংঘর্ষের (নিউ মার্কেট এলাকায়) ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে আসলে দেশে কোনো সরকার নেই।

‘এই সরকার একটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকারে পরিণত হয়েছে এবং তারা এই রাষ্ট্রকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের চোখের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়েছে দুটি পক্ষের মধ্যে। সেটাকে তারা (সরকার) বন্ধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

‘উপরন্তু তাদের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন যে তারা কোনো পক্ষেই ছিলেন না, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তারা এই সংঘর্ষকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেয়ায় সহযোগিতা করেছেন।

‘ওই ঘটনায় যে দুজন মারা গেছেন, এই মৃত্যুর জন্য এই হত্যার জন্য তারাই দায়ী।’

এ বিভাগের আরো খবর