ঈদের আগে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন হয়েছে।
নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের উদ্যোগে এ মানববন্ধন শুরু হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সমন্বয়ক রহুল আমিন।
শ্রমিকদের অন্যা দাবিগুলো হলো, বন্ধ রাষ্ট্রীয় সব পাটকল দ্রুত চালু করা, ২০১৯ সালের ছয় সপ্তাহের মজুরির টাকা প্রদান এবং নাম ও মামলা জটিলতায় ভুক্তভোগী সব শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নাগরিক নেতা আ ফ ম মহসিন, শ্রমিকনেতা মনির হোসেন, আলমগীর কবির, আব্দুল হাকিম শামিম খান ও মোশারফ হোসেন, শফিউদ্দিন শফিসহ অনেকে।
মানববন্ধনে আ ফ ম মহসিন বলেন, ‘মিল বন্ধের সময় আমাদের বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে এটি চালু হবে। তবে তিন বছর হতে চলল মিল চালু হয়নি। আমাদের পাওনা টাকা না দেয়ার ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা অঞ্চলের ৫টি পাটকলের ১১ হাজার শ্রমিকের মজুরি বকেয়া আছে। আর দেশের অন্য ২০টি পাটকলের ১৮ হাজার বদলি শ্রমিকও পাওনা বুঝে পাননি। এ ছাড়া খুলনা অঞ্চলের পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়ার ফলে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের পাশাপাশি এই শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর কালো ছায়া নেমে এসেছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শ্রমিকনেতারা সরকারের পাটনীতি নিয়েও সমালোচনা করেন এবং পাটকলগুলোর এই পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কর্মকর্তাদের দোষারোপ করেন।
পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সমন্বয়ক রহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ঈদের আগে যদি শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া না হয়, তাহলে প্রয়োজনে ঈদের দিন থেকে আমরা পাওনার দাবিতে রাস্তায় অবস্থান নেব। এরপর ধারবাহিক যেসব কর্মসূচি নেব তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতিও চাইব না।’