সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাঙআটি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত রান্নাঘরের ভেতর থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে জামাই আসাদুজ্জামান তাছেরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
২৫ বছরের তাছের একই এলাকার জয়নগর গ্রামের নুর হোসেন গাজীর ছেলে।
তাছেরের স্ত্রী মারুফা খাতুন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এর জেরে চার মাস আগে আমার সঙ্গে আর দাম্পত্য সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দেয় তাছের। পরে এ-সংক্রান্ত নথিপত্রও পাঠানো হয় আমাকে। বৃহস্পতিবার সকালে আমার বড় বোনের রান্নাঘরের মধ্যে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে বলে খবর দেয়া হয়।’
মারুফা খাতুনের বড় বোন ছকিনা খাতুন বলেন, ‘সকালে আমি পরিত্যক্ত রান্না ঘরটি গোছাতে গেলে একজনকে ঝুলে থাকতে দেখি। মরদেহ দেখে চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।’
তবে তাছেরের বোন খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তাছেরের বাবা নুর হোসেন গাজী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার ছেলেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারপিট করে তার ফোন ও টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গতকাল সেই ফোন আনতে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি। আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’
শ্যামনগর থানার সহকারী পরিদর্শক শাহাবুর রহমান জানান, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা যাবে না। তবে সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যাও বলা যাচ্ছে না।’