চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে স্পিডবোট ডুবে এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসন।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও কেন ওই বোটটি যাত্রা করেছিল, এখানে কারও গাফিলতি ছিল কি না; এসব বিষয় তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আহবায়ক ও সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের একজন করে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
এদিকে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় প্রথমে এক শিশু নিখোঁজ থাকার তথ্য জানালেও এখন বলা হচ্ছে তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজ মেলেনি এখনো।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান বলেন, ‘শুরুতে এক জন নিখোঁজের কথা বলা হলেও পরে জানা যায় নিখোঁজ তিন জন। তাদের মধ্যে দুজন নিহত আনিকার ছোট দুই জমজ বোন ৮ বছরের আদিবা ও আলিফা। অন্যজন হলেন ১০ বছর বয়সী মনির হোসেন সৈকত।
তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ঘাটে যাওয়ার পথে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার পর সন্দ্বীপ চ্যানেলে কালবৈশাখি ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। অভিযান চালিয়ে ১৪ বছরের নুসরাত জাহান আনিকার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে। নিখোঁজ রয়েছেন তিন জন।