ঢাকার ধামরাইয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে খাবার কম হওয়ার ঘটনায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতাসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটকের কথা জানিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতা ইউনিয়নে হরলাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের মো. কাইয়ুম ও একই গ্রামের রুহুল আমিন। তাদের বয়স যথাক্রমে ২০ ও ১৮ বছর।
আহতরা হলেন, একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিউটি বেগম, তার ছেলে মো. রাব্বি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিম। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আমতা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আলকেস আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হরলাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ দুই হাজার মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ চেয়ারম্যানরা এই আয়োজন করেন।
‘ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ সবাই মিলে আয়োজনটা করছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের এমপি ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনচির আহমেদ প্রধান অতিথি ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ইফতারের সময় প্যাকেটে বিরিয়ানি বিতরণের সময় কিছু উশৃঙ্খল যুবকদের মধ্যে কম পড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায় একে অপরকে মারধর করতে থাকেন তারা। পরে সেটা বিশাল মারামারিতে রূপ নেয়।
‘এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িসহ লাঠিসোটা নিয়েও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী ইউপি সদস্য, তার ছেলে ও ছাত্রলীগের এক নেতাসহ পাঁচ থেকে সাতজন আহত হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, ‘আজ একটা ইফতার মহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এমপি সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের পরে খাবার বিতরণ করার সময় একটা ঝামেলা হয়েছে। সম্ভবত তাদের মধ্যে পূর্বের কোনো বিরোধ ছিল।
‘কিছু ছেলে হঠাৎ মারামারি করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাকিদের কথা বলতে পারছি না। এরা আমাদের কিছু না। খাবার না পাওয়ায় এই সমস্যাটার সৃষ্টি হয়েছে।’
আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘এমপি সাহেব চলে যাওয়ার পর ছেলেপেলেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরিবেশ শান্তও করা হয়েছে।’
ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রাসেল মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইফতারে খাবার বিতরণের সময় একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে আটক করি।
‘আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা করা হবে।
ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের এমপি বলেন, ‘আমি চলে আসার পরে সেখানে খাবার বিতরণ নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। গ্রামের মধ্যে তো, ছেলেপেলে উত্তেজিত হয়ে ঘটনাটা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’